ঢাকায় মুক্তি পাচ্ছে ‘টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট’
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘টার্মিনেটর’। এ সিরিজের প্রায় সব সিনেমাই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এর নতুন পর্ব ‘টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট’। একই দিন ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সেও সিনেমাটি মুক্তি পাবে।
টিম মিলার পরিচালিত এবং জেমস ক্যামেরন ও ডেভিড ইলিসন প্রযোজিত ‘টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট’ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিনেমাটি দর্শকদের জন্য দারুণ সব চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে। এতে অ্যাকশন হিরো আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের বিপরীতে দীর্ঘ বিরতির পর অভিনয় করেছেন অ্যাকশন কুইন লিন্ডা হ্যামিলটন। এবার প্রধান চরিত্রেই থাকছেন তিনি। বিখ্যাত সারাহ কনর চরিত্রে আবারও অভিনয় করবেন এই তারকা।
এর আগে টার্মিনেটরের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছিলেন লিন্ডা হ্যামিলটন। এরপর সিরিজটি থেকে দীর্ঘ বিরতি নেন তিনি। আর এবার ফিরছেন নতুন ঝাঁজালো, মারকুটে ভূমিকায়।
৬৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানান, ১৯৯১ সালের ‘জাজমেন্ট ডে’র পর ফের একবার টার্মিনেটরের স্বাদ পাওয়া এই সিনেমায়। অ্যাকশন দৃশ্যগুলো থাকছে আগের চেয়ে দশগুণ বড়।
আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের ভাষ্যে, ‘কঠোর পরিশ্রম কর এবং নিষ্ঠার সঙ্গে খেল।’ মূলত পুরো সিনেমাটি এই নীতির ওপরেই দাঁড়িয়ে।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে এটি একেবারেই ভিন্ন গল্পের আরেকটি টার্মিনেটর সিনেমা। আর এর পুরোটা জুড়ে জেমস ক্যামেরনের ছোঁয়া রয়েছে। তাই এটা সেই পুরনো টার্মিনেটরের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত যতগুলো টার্মিনেটর সিনেমা দর্শকরা পেয়েছেন, তার মধ্যে এটাতেই সবচেয়ে বেশি অ্যাকশন দৃশ্য থাকছে।’
এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক জেমস ক্যামেরন ‘টার্মিনেটর’ ফ্র্যাঞ্চাইজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ আবারও ‘টার্মিনেটর’র সিক্যুয়াল নির্মাণের আভাস দিয়েছেন তিনি। তবে সঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এর পেছনে একমাত্র শর্ত হলো আসন্ন পর্ব ‘ডার্ক ফেইট’র সাফল্য।
মূলত ‘ডার্ক ফেইট’ জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ‘টার্মিনেটর: জাজমেন্ট ডে’র (১৯৯১) সরাসরি সিক্যুয়েল। তবে তাতে শেষ তিন সিনেমা ‘টার্মিনেটর থ্রি: রাইজ অফ দ্য মেশিন’ (২০০৩), ‘টার্মিনেটর স্যালভেশন’ (২০০৯) এবং ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’র (২০১৫) অনেক যোগসূত্র থাকবে বলেও জানা যায়।