April 24, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

চীন-ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সমান : প্রধানমন্ত্রী

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিশ্ব পরাশক্তির দুই প্রতিদ্ব›দ্বী দেশ চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ কীভাবে একই পর্যায়ের বন্ধুত্ব রাখছে? এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন চীন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা (বাংলাদেশ) কারো সঙ্গে যুদ্ধ বা সংঘাতে জড়াতে চাই না। তাদের দু’দেশের মধ্যেকার যে ইস্যু; সেটা তাদের ইস্যু।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কোঅপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে একথা জানান।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্যানেল আলোচনায় প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রের মূলনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্র“তা নয়। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ বা সংঘাতে জড়াতে চাই না।

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের দু’দেশের (চীন ও ভারত) মধ্যেকার যে ইস্যু; সেটা তাদের ইস্যু। বাংলাদেশ সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং এ পর্যন্ত সফল হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের ১০ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন আকাক্সক্ষা অর্জনে বাংলাদেশকে বিশ্বের সব বন্ধুদের সঙ্গে ভারসাম্য ও বস্তুনিষ্ঠ অবস্থানে রাখার চেষ্টা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিষয়টি সবসময় পরিষ্কার রেখেছি যে বাংলাদেশ কোনো সামরিক উচ্চাকাক্সক্ষা লালন করে না। এটা আমাদের মূল্যবোধ ও নীতির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমাদের সরকার ইন্ডিয়া-চীন-জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ-রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের সব বন্ধুরই প্রয়োজন। আমাদের বন্ধুত্ব পারস্পরিক সম্মান ও বিশ্বাসের। আমরা সবাই আমাদের জনগণের কল্যাণ চাই।

বঙ্গবন্ধু কন্যা আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের চেয়ে অনেক বেশি। স্বাধীনতা অর্জনে আমরা একসঙ্গে রক্ত ঝরিয়েছি। চীনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। চীন আমাদের মেগা প্রজেক্ট ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অংশীদার। শুধু সবচেয়ে বড় ওডিএ অংশীদারই নয়, জাপানের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক। রাশিয়া, আমাদের অন্য অংশীদার, যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *