চিনি শিল্পকে লাভজনক করতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চিনিকলগুলোকে পণ্য বৈচিত্রকরণের নির্দেশ শিল্পমন্ত্রীর
(বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চিনিকলগুলোতে পণ্য বৈচিত্রকরণ কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জনে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চিনিকলগুলোতে পণ্য বৈচিত্রকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এ শিল্পকে লাভজনক করতে চিনিকলে শুধু চিনি করলেই চলবে না, অন্যান্য খাদ্যপণ্যও উৎপাদন করতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
শিল্পমন্ত্রী আজ রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০টি নতুন প্রকল্পসহ মোট ৫২টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৪টি কারিগরি এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার ৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি-খাতে ৯শ’ ৩৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায়তা খাতে ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
সভায় প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্যাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কেন্দ্রিয়ভাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন তদারকি এবং অগ্রগতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রচারের তাগিদ দেয়া হয়।
চিনি শিল্পকে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষিভিত্তিক এ শিল্পকে লাভজনক করতে চিনিকলের উপজাত (বাই-প্রোডাক্ট) ব্যবহার করে নতুন পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে। চিনিকলগুলোতে বিদ্যমান কাঁচামাল ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদনের প্রয়াস জোরদার করার পাশাপাশি ছোট ও নি¤œমানের প্রকল্প না নিয়ে বৃহৎ আকারে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণেরও পরামর্শ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ঘন ঘন খুচরা যন্ত্রাংশ বদলানোর প্রয়োজন হয়, সেগুলো পরিহার করে গুণগতমানের প্রকল্প গ্রহণ এবং দক্ষতার সাথে ওই সব প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
হুমায়ূন মজিদ বলেন, সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে টিম স্প্রিটের সাথে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি আসন্ন ঈদ-উল-আযহার আগেই চামড়া শিল্পনগরির কাজ সমাপ্ত করার তাগিদ দেন। ঈদের সময় চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে যাতে কোনো ধরণের সমস্যা না হয়, সে লক্ষ্যে এখন থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে কাজ করার জন্যও মন্ত্রী চামড়া শিল্পনগরি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।