July 27, 2024
জাতীয়

ঘুষের মামলাতেও জামিন হয়নি ডিআইজি মিজানের

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার ধার্য তারিখ থাকায় ডিআইজি মিজানকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছর জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ডিআইজি মিজানুর রহমানকে। এরপর তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক; সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন, বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এর পক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপও তিনি ফাঁস করে দেন।

ডিআইজি মিজান দাবি করেন, নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বাছির যে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, তা প্রমাণ করতে এই কাজ তিনি করেছেন। অন্যদিকে ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বাছির বলেন, ‘সব বানোয়াট’। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা গত ১৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা এ মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের ‘দায় থেকে বাঁচার জন্য’ ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ‘প্রভাবিত করেন’ বলে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।

এদিকে এর আগে গত ২৪ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা, ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান এবং ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের পরিচালক মনজুর মোরশেদ। সেখানে তিন কোটি সাত লাখ ৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

ওই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাই কোর্টে গেলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। পরদিন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত জামিন নাকচ করে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। পরে পুলিশ কর্মকর্তা মিজানকে ঘুষের মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখায় দুদক। মামলার আরেক আসামি বাছির গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *