July 27, 2024
আঞ্চলিক

খুলনা রেলওয়ে থানায় গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধূর মাদক মামলায় জামিন

দ: প্রতিবেদক

খুলনা জিআরপি থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগকারী সেই গৃহবধূ মাদক মামলায় জামিন পেয়ছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফুলতলা আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানি করেন মো. সাইফুজ্জামান।

গৃহবধূকে আইনি সহায়তাদানকারী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা- মানবাধিকার এর সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘৯ আগস্ট শুনানিতে জামিন না মঞ্জুর হওয়ার পর ২৮ আগস্ট আবারও জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।’

উলে­খ্য, ২ আগস্ট যশোর থেকে কমিউটার ট্রেনে খুলনায় আসার পথে ফুলতলা রেলস্টেশনে জিআরপি পুলিশ সদস্যরা ওই গৃহবধূকে মোবাইলফোন চুরির অভিযোগে আটক করেন। রাতে তাকে খুলনা জিআরপি থানা হাজতে রাখা হয়। ৩ আগস্ট তার কাছ থেকে ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়। মাদক মামলা দিয়ে তাকে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির করা হয়। এ সময় জিআরপি থানায় রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন ভিকটিম। তিনি বলেন, ‘ওসি উছমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ ও সদস্যরা হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ. ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম। এ কমিটি ৬ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে। ৭ আগস্ট ওসি উছমান গনি পাঠান ও এসআই নাজমুলকে ক্লোজড করে পাকশি নেওয়া হয়। ৮ আগস্ট পাকশি ও ঢাকা থেকে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত টিমের সদস্যরা আদালতের অনুমতি নিয়ে জেল গেটে ভিকটিমের জবানবন্দি নেন। এরপর আদালতের নির্দেশে ৯ আগস্ট ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে ফিরোজ আহমেদকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি তদন্তের শুরুতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ আগস্ট আবেদন করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে ২৬ আগস্ট তিনি জেল গেটে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *