খুলনা বিভাগে ৫১ জন এইডস রোগী সনাক্ত
দ: প্রতিবেদক
‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল রবিবার দেশের অন্যান্য স্থানের মতো খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে সকালে স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জানানো হয়, ২০১৮ সালে খুলনা বিভাগে ৬৭ জন এইচআইভি সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত করা হয়। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ছয়শত ৪৮ জনকে এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫১ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের ৩৯ জনকে সনাক্ত করা হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট এইচআইভি এইডস রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার চারশত ৫৫ জন।
অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশে দিন দিন এইচআইভি এইডস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এইডস প্রতিারোধ করা সম্ভব। এইচআইভি এইডস সনাক্ত হলে সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। এর প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান। খুলনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, এনজিও প্রতিনিধি এসএম বাতেন ও মোঃ আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স ও এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অনিরাপদ দৈহিক মিলন, এইডস রোগের ভাইরাস রয়েছে এমন রক্ত শরীরে গ্রহণ, অন্যের ব্যবহার করা ইনজেকশনের সূঁচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহারের ফলে এইডস ছড়াতে পারে। এছাড়াও রোগের ভাইরাস বহনকারী মা হতে গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের সময় অথবা বুকের দুধের মাধ্যমে সন্তানের এইডস হতে পারে।
আলোচনা সভার আগে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল চত্ত¡র থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্কুল হেলথ ক্লিনিকে এসে শেষ হয়।