July 27, 2024
আঞ্চলিক

খুলনা জেলা পর্যায়ে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ

সপ্তাহের উদ্বোধন

তথ্য বিবরণী

গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে পালিত হচ্ছে

২৩তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার

সাজিয়াড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট

খাওয়ানোর মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন

করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক।

উদ্বোধনকালে সিভিল সার্জন বলেন, কৃমি মানুষের পেটের খাবারের তিন

ভাগের দুই ভাগই খেয়ে ফেলে। তাই মানুষ পুষ্টিহীনতার ভোগে। এছাড়াও কৃমি

শিশুদের মেধার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে এবং শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টিতে

 

ভোগে। কৃমি প্রতিরোধ করতে হলে খাওয়ার আগে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করা,

খাবার ঢেকে রাখা, খাবার পরিস্কার করে খাওয়া, স্যান্ডেল পায়ে বাথরুমে যাওয়া

এবং পায়খানার পরে ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে

হবে। শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের

বেশি সচেতন হতে হবে। শিশুদের পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যদের এই

কৃমিনাশক ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। ট্যাবলেট খালি পেটে খাওয়া যাবেনা।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ

শাহনাজ বেগম এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ

মোঃ সুফিয়ান রুস্তম। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক

শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। খুলনা সিভিল সার্জন

অফিস এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এবারে খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভাসহ দুই হাজার একশত

৪৩টি সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোট তিন

লাখ ৯৪ হাজার ২২ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

এছাড়া খুলনা মহানগরীতে পাঁচশ ৯১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা

প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৪৯ হাজার সাতশ ৭০ শিশুকে এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

মোট পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ৭শ ৯২ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

দেশে ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় বছরে

দুইবার এপ্রিল এবং অক্টোবর মাসে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা

হয়। সপ্তাহব্যাপী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ

সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫ থেকে ১২ বছর এবং ১২

থেকে ১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত, ঝরেপড়া, কর্মজীবী শিশু,

পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের বিনামূল্যে কৃমি নাশক ট্যাবলেট (মেবেন্ডাজল ৫০০

মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *