April 22, 2024
আঞ্চলিক

খুলনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি

 

তথ্য বিবরণী

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৯ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে বিভাগীয় শহর খুলনাতেও সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।  কর্মসূচির মধ্যে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ৩১বার তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে  গল্ল¬ামারী  শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি এবং  প্রত্যুষে খুলনা কালেকক্টরেট প্রাঙ্গণে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। ঐদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল  আটটায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। পরে একইস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স,স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড কর্তৃক বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী  হবে।

ঐদিন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।  সকাল ১১টায় নগরীর সিনেমা হলসমূহ ও দৌলতপুর শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং  মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। দুপুর একটায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু সদন ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে ঐদিন বাদ যোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। স্থানীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডবি¬উটিএ রকেট ঘাটে বেলা দু’টা হতে  বিকেল সাড়ে পাঁচ’টা  পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।

বেলা সাড়ে তিনটায় পাইওনিয়ার স্কুলে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ এবং বিকেল চারটায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে কেসিসি একাদশ বনাম জেলা প্রশাসন একাদশ এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

ঐ দিন শহীদ হাদিস পার্কে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা । সকাল আটটা হতে বিকেল চারটা পর্যন্ত নগরীর নির্দিষ্ট স্থানসমূহে বাদ্য সংগীত পরিবেশন করা হবে।

২৬ মার্চ ও ২৭ মার্চ সকাল ১০টা হতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি ও  পুস্তক প্রদর্শনী এবং কবিতা পাঠের আসর আয়োজন করা হবে। সঠিক মাপের জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রঙ এর পতাকা দ্বারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিত করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সংশ্লি¬ষ্ট ভবন আলোকসজ্জা করা হবে।

২৫ মার্চ শিশু একাডেমিতে বিকেল তিনটায় শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ ও ২৫ মার্চ উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরীতে সকাল ১০টা হতে রাত আটটা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিববাড়ী মোড়ে বিসিক ভবন চত্বরে ২৬ হতে ২৮ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প  প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ ও ২৪ মার্চ জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শহীদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং ২৬ ও ২৭ মার্চ মুক্তনাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলাগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *