খুলনায় তালিকাভুক্ত রাজাকার সামসুরের বিরুদ্ধে জমি জালিয়াতির অভিযোগ
দ: প্রতিবেদক
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলাধীন মাথাভাঙ্গা মৌজা এলাকার যুদ্ধপরাধ মামলার আসামী সামসুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৬ শতক জমি জবর দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবুবক্কর শেখ। সামসুর রহমানকে জালিয়াতি চক্রের হোতা, মামলাবাজ ও চিহ্নিত রাজাকার উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বটিয়াঘাটার মাথভাঙ্গা মৌজায় আর,এস ৪৫৮ নং খতিয়ানের ২৬১ নং দাগের ৭৬ শতক জমি ১৯৮৮ সালে সুরেশ চন্দ্র দাশের নিকট থেকে ক্রয় করেন। যা তার নিজনামে রেকর্ড করা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জমির রেকর্ডিয় মালিক ছাড়া অন্য কেউ খতিয়ান ভূক্ত কোনো দাগের জমি বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে পারেনা। অথচ সামসুর রহমান, আরিফ আহমেদ ও মহসিন রেজাসহ কয়েকজন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে নিজেদের ৪৫৮ খতিয়ানে ষোলআনা অংশের রেকর্ডিয় মালিক সেজে আবুবক্করের ওই রেকর্ডিয় জমি এস এম বেলায়েত হোসেন ও মোঃ মানিক হাওলাদারের নিকট বিক্রি করে দেয়। এ পর্যন্ত এই জালিয়াতি চক্র বিভিন্ন নামে প্রায় ৪০/৫০টি দলিল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন, সামসুর রহমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলাসহ অন্ততঃ ১৩ টি প্রতারনার মামলা রয়েছে।
এসব জালিয়াতির কাজের জাল কাগজপত্র এতটাই আসলের কাছাকাছি যে, তা দেখে সাধারণ মানুষতো বটেই, বটিয়াঘাটা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাবরেজিস্ট্রারও প্রতারিত হয়েছেন। ভুক্তভোগী আবুবক্কর শেখ এদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বিকার করে সামসুর রহমান বলেন, আমি জমি কিনেছি ১৯৭৯ সালে আর তারা জমি কিনেছে চার বছর আগে। তারা যে মালিককে দেখাচ্ছে তিনি ভারতে থাকেন। বিদেশী কেউ জমির মালিক হতে পারে না। যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।