April 26, 2024
আঞ্চলিক

খুবিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বৈশাখী মেলায় মানুষের ঢল

 

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপনে গত ১৪ এপ্রিল, রোববার সকাল ৮ টায় ‘এসো হে বৈশাখ…’ বর্ষ আবাহন সঙ্গীতের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের নেতৃত্বে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মেলা অঙ্গন থেকে শুরু করে হাদী চত্বরে পৌঁছায়। সেখানে উপাচার্য বেলুন উড়িয়ে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অতঃপর শোভাযাত্রাটি নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে ময়লাপোতা মোড় হয়ে রয়্যাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সেখানে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন পহেলা বৈশাখ আবহমান বাংলার কৃষ্টিকে বহন করে চলেছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়কে বহন করে চলেছে।

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সকলকে এবং নিরাপত্তার সহযোগিতা প্রদানের জন্য কেএমপি ও অন্যান্য সংস্থাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি আইন স্কুলের ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধান, কমিটির সদস্য-সচিব ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন। নানা রংয়ের ফেস্টুন, ঘোড়া, দোয়েলসহ বর্ণিল সাজের সাথে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাসহ শোভাযাত্রাটি যখন কে ডি এ  এভিনিউ ধরে অতিক্রম করছিলো তখন আশপাশের মানুষ হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান। রয়েল মোড়ে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হলে সেখানে আনন্দ উৎসবে নেচে গেয়ে উৎফুল্লতা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বৈশাখী মেলায় দুপুরের আগে থেকেই দর্শকের আগমনী ঢল নামে। মেলা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ফটক দিয়ে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ সপরিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে মাঠে পৌঁছান। তবে এবার শেষ চৈত্রে ঝড়-বৃষ্টির কারণে মাঠ ভিজে যাওয়ায় দর্শকদের স্টলে যেতে অনেকটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তা সত্তে¡ও শত শত দর্শক কর্দমাক্ত মাঠে নেমে মেলার স্টলে যান। আবার শত শত মানুষ মেলার মাঠের পাশের রাস্তায় অবস্থান করেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে। শেষে উপাচার্য আগের দিনের ঝড়বৃষ্টির কারণে মেলার মাঠের সৃষ্ট প্রতিক‚ল অবস্থার মধ্যেও শত শত দর্শকের আগমন ও বিশেষ করে স্টলগুলো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *