October 8, 2024
আঞ্চলিক

কয়রায় আ’লীগ নেতাকে মারপিটের অভিযোগ

কয়রা প্রতিনিধি

খুলনার কয়রায় নাজমুস সাদত নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে টার দিকে উপজেলা সদরের খান বস্ত্রালয় নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে তাকে মারপিট করা হয়। অভিযোগের তীর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের দিকে হলেও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।

মারপিটের স্বীকার নাজমুস সাদত কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কয়রা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান। তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৫ নম্বর কয়রা লঞ্চঘাট এলাকায় মোস্তফা শরীফ মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করে তার প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ সদস্যরা। ওই যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঘটনাটি জানাতে তিনি থানায় গিয়েছিলেন। থানা থেকে ফেরার পথে ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম টিংকুর নেতৃত্বে একদল যুবক তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ নেতারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার পর কয়রা সদরে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুস সাদত এর অনুসারীরা ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা পাল্টা পাল্টি অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ত্রণে পুলিশ লাঠি চার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে।

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস,এম শফিকুল ইসলাম জানান, তার সামনেই ছাত্রলীগ কর্মীরা অতির্কিত হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুস সাদাতকে আহত করেছে। বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান রাসেল বলেন, ঘটনার সময় আমি কয়রা সদরের তিনরাস্তার মোড় সংলগ্ন একটি ভবনের তিন তলায় অবস্থান করছিলাম। হৈচৈ শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পাই দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হচ্ছে। আমি তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবী করেন তিনি।

কয়রা থানার ওসি রবিউল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সেখানে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। সেখান থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *