April 19, 2024
আঞ্চলিক

কেশবপুরে ব্রিজ নামকরণে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুরের সীমান্তবর্তি নাগোরঘোপ গ্রামের হরিহর নদীর ওপর পুনঃনির্মিত ব্রিজটি গোলাম আলী ফকির নাম করণের দাবিতে এলাকাবাসি যশোর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।

তথ্য সূত্রে, হরিহর নদীর ওপর ১৩৪৬ বঙ্গাব্দে বেলকাটি গ্রামের আধ্যাতিক সাধক এ ফকির প্রথম এই ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন। তার বাড়িতে যেতে নাগরঘোপ গ্রামের নদীর ওপরে বাঁশের সাঁকো পার হওয়া লাগত। তখন তিনি গড়ভাঙ্গা ও মুজগুন্নী গ্রাম দিয়ে যেয়ে ওই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে যশোর ও বনগাঁ যাতায়াত করতেন। যখন ব্রীজ নির্মান করেছিলেন তখন ১ টাকায় ১৩ জন শ্রমিক পাওয়া যেত আর ৮ থেকে ১০ টাকায় কেনা যেত এক বিঘা জমি। ব্রীজ নির্মানের সময় ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার টাকা। ব্রিজের নির্মান সামগ্রী ও শ্রমিক কলকাতা থেকে আনা হয়েছিল বলে জনশ্রতিতি রয়েছে। নিজ অর্থে ব্রীজ নির্মান করায় তখন কলকাতার মাড়োয়ার ব্যবসায়ী মহল এই ফকিরকে দেখতে চেয়েছিলেন। কারণ সে সময় জমিদাররাও এমন ধরনের ব্রীজ নির্মান করতে পারেননি। দীর্ঘদিন আগে সেই ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় মনিরামপুরের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যের প্রচেষ্টায় ২ কোটি ২১ লাখ ২৭ হাজার ৪শ’ টাকা ব্যয়ে যশোরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্রীজটি পুননির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করেছে।

শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ব্রীজটি নূতন ভাবে নির্মিত হওয়ায় এলাকার মানুষ গোলাম আলী ফকিরের নামে নামকরন করার দাবী করে আসছিল এলাকাবাসী।  কোন নামকরন ছাড়াই সম্প্রতি ব্রিজের উদ্ভোধন কাজ শেষ হয়েছে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *