কুষ্টিয়ায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিহত কলেজছাত্র ইমন আলীর লাশ দাফনের ১০ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে শনিবার বেলা ১১টার দিকে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থান থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান তারা।
গত ২০ নভেম্বর মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইমন নামে একজন কলেজ ছাত্র মারা যান। সে সময় অনাপত্তি দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করে পরিবার।
পরে ওই কেন্দ্রের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার একটি ফুটেজ ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ইমনকে নির্যাতন করে ও বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। বুধবার পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রটি সিলগালা করে দেয়। আটক করা হয় মালিক আব্দুল মতিন ও তার শ্যালক তত্ত¡াবধায়ক হাবিব উদ্দিনসহ তিনজনকে। গত ১৯ নভেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে ভর্তি করা হয় মিরপুর উপজেলার কাদেরপুল গ্রামের এজাজুল আজীমের ছেলে ইমন আলীকে (২০)।
মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে ২৭ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে তাদের থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন। মামলার এজাহারে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও পরিচালক আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অশীত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।