কলারোয়ায় চোরের হামলায় মৎস্য চাষী হাসপাতালে
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
বুধবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফিরাজতুল্যা গাজী (৪৫) নামে এক মাছ চাষীর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ্য করে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আহত মাছ চাষীর ছেলে মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান- তাদের আলাইপুর গ্রামে একটি মাছের ঘের আছে। সেই ঘের থেকে মাসখানিক যাবত মাছ চুরি হচ্ছে। এনিয়ে তার পিতা ফিরাজতুল্যা দুরচিন্তায় ভুগছিলেন। তিনি স্থানীয় মানুষের কাছে এ নিয়ে পরামর্শ করেন। পরে বুধবার রাতে ওই ঘেরে পাহারা দেন। রাত ৮টার দিকে উপজেলার আইলপুর গ্রামের মাজেদ গাজীর ছেলে ইউসুফ আলী (২৪) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে হযরত মোড়ল (২২) তার ঘেরে জাল দিয়ে মাছ ধরে। এসময় তিনি জালের শব্দ শুনে টর্চ লাইট মেরে উক্ত চোরদের তাড়া করেন। চোরেরা জাল নিয়ে দৌড়ে তাদের বাড়ীতে চলে আসে। তখন ঘের মালিক ফিরাজতুল্লা চোরেদের পিছু নিয়ে তাদের বাড়ীতে এসে ঘেরে মাছ ধরতে নিষেধ করিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মাছ চোর ইউসুফ গাজী, হযরত মোড়ল, মাজেদ গাজী, আকলিমা খাতুন দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড ও সাবল দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে সারা শরির নিলা ফোলা জখম করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তার ডাকচিৎকারে ছেলে ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল এগিয়ে আসলে তাকেও ধরে বেধড়ক পিটিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ২৫ হাজার ৮শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মাছ চাষী ফিরাজতুল্লা কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল আরো জানান-হাতে নাতে মাছ চোর ধরে ফেলাতে তার পিতার উপর এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনীর-উল-গীয়াস জানান- বুধবার রাতে আহতদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।