April 13, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

ওয়াসার পানিতে বর্জ্য ও ব্যাকটেরিয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

(বাসস) : ঢাকা ওয়াসার কিছু কিছু এলাকার পানিতে মল ও ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়ার ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এসময় রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত আটটি নমুনার পানিতে দূষণের তথ্য প্রতিবেদন আকারে দাখিল করা হয়। এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া ও উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে এবং কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা আদালতকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত ৮টি নমুনা পানিতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। এইসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গত ২১ মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাবি অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮টি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে কমিটি।
গত বছর ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিকে গত ২১ মে পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এর আগে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। পরে পত্রিকায়ও এসব তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সেইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *