April 11, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি থেকে বাদ মওদুদ-মোশাররফ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভরাডুবির পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটিতে পরিবর্তন এসেছে। জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের সদস্য বিএনপির দুই সিনিয়র নেতা ওই কমিটিতে কাজ করার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করায় বিএনপির অন্য দুই সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর দলের পক্ষ থেকে স্টিয়ারিং কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করতেন আরও দুজন। তারা হলেন দলের সবচেয়ে সিনিয়র স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তারা দুজন আর এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়ায় তাদের পরিবর্তে দলের অপর দুই স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ওই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. মোশাররফ হোসেন শুক্রবার সকালে বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে আছি এখন কথা বলতে পারবো না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান সরাসরি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি। তিনি এ বিষয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটা তো পুরোনো খবর।
স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, আপনিই তো জানেন, আমার কাছে আবার জানতে চাইছেন কেন
তিনি আরও বলেন, স্টিয়ারিং কমিটির গত (১৭ জানুয়ারি) মিটিংয়ে ড. মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসার কথা ছিল। তবে তারা দেরিতে পৌঁছানোর কারণে মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। কমিটির আগামী মিটিংয়ে বোঝা যাবে কারা আসবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে সর্বদলীয় গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবি নিয়ে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গত বছর ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে এই ফ্রন্ট গঠিত হলেও পরে যোগ দেয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয় ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন— ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, ডা. জাহেদ উর রহমান, আ স ম আবদুর রব, মিসেস তানিয়া রব, আব্দুল মালেক রতন, শহিদুদ্দিন মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুলতান মনসুর। পরে যোগ হন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *