April 20, 2024
জাতীয়

এফআর টাওয়ার: মন্ত্রী-উপদেষ্টার ‘প্রভাব ছিল কি না দেখা হবে’

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ১৮তলার অনুমোদন নিয়ে এফআর টাওয়ার ২৩তলা করার পেছনে কোনো মন্ত্রীর প্রভাব ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলছেন, অবৈধভাবে ভবনের উপরের অংশ নির্মাণের বিষয়ে ২০০৭ সাল রাজউকে প্রতিবেদন এলেও সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি তখনকার রাজউক কর্মকর্তা ওই বিষয়ে কোনো ‘নোটও’ দিয়ে যাননি।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার আমলে কোনো উপদেষ্টার প্রভাবে এমনটা হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ইমারত নির্মাণে সরকারের দায়িত্ব ও নাগরিকদের করণীয়’ বিষয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’-এ তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। ওই ভবনের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি সবার ব্যবহার উপযোগী ছিল না এবং তার দরজা ‘ফায়ার রেটেড’ না হওয়ায় ধোঁয়ায় সিঁড়িতেই অনেকে মারা যান বলে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ে এফআর টাওয়ারের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। ওই জমিতে ২০০৫ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে রূপায়ন গ্র“প। দুই বছর পর ভবনটি চালু হয়। আধাআধি মালিকানা হওয়ায় ভবনটির নাম তখন দেওয়া হয় ফারুক-রূপায়ন টাওয়ার; সংক্ষেপে এফআর টাওয়ার।

অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই ভবনের উপরের অবৈধ অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম এবং জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর ভবনটির পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন। এ মামলার অপর আসামি করা হয়েছে রূপায়ন গ্র“পের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে। এ ঘটনায় যাদের দায় আছে তাদের সবাইকে ধরা হবে বলে জানান মন্ত্রী রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, সা¤প্রতিক সময়ে বনানীর যে এফাআর টাওয়ারের ঘটনাটা ঘটল সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। সেখানে তিন শ্রেণির মানুষ জড়িত। প্রথম হচ্ছে লোভী মালিক, লোভী ডেভেলপার এবং এই ডেভেলপমেন্টের কাজ দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের ছিল অর্থাৎ ওই অঞ্চলে রাজউকের যেসব কর্মকর্তা, পরিদর্শক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। আরেকটা বিষয় হল- অপরাধের প্রমাণ পাওয়ার পরেও ব্যবস্থা না নেওয়া।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে একটা রিপোর্ট এসেছিল যে, এফআর টাওয়ারের উপরের অংশ অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এই রিপোর্টটি আসার পরও সে সময়ে রাজউকের যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন, যারা কর্মকর্তা ছিলেন তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এমনকি ফাইলে কোনো নোটও দেননি। এই রিপোর্টটা দেখার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কেন তারা করেননি, সেটা আমরা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছি। কোনো মন্ত্রীর প্রভাব ছিল সেই সময়, নাকি কোনো উপদেষ্টার প্রভাব ছিল তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *