একজন চেয়ারম্যান ও তিনজন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী: খুলনায় দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে বিএনপির ‘চার’ নেতা
জয়নাল ফরাজী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনেই খুলনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন চারজন নেতা-নেত্রী। এদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, বাকি তিনজন ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে শীঘ্রই বহিস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে খুলনায় চেয়ারম্যান পদে একজন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলার সাহস ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোলা মাহবুবুর রহমান। কয়রা উপজেলা ভাইস- চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ আব্দুর রশিদ, একই উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মহিলা দলের সভাপতি নাসিমা আলম ও বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেত্রী খালেদা আক্তার।
বিএনপি সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। এরপর দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয় বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র অধীনে আর কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়ে একাধিকবার চিঠিও দেওয়া হয়। ওইসব চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি দলীয়ভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। যদি কেউ নিজ দায়িত্বে নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের বহিস্কার করাও হয়েছে। এদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সূত্র জানিয়েছে। তবে খুলনায় চারজন প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকায় এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি দলটি।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের অনেককে ইতোমধ্যে বহিস্কার করা হয়েছে। খুলনা থেকে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের বিষয়েও কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে। এখানে স্থানীয় নেতাদের কিছু করার নেই। বহিস্কার করা, না করা কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয়।’