আ-মরি বাংলা ভাষা
দ. প্রতিবেদক
আজ ১৮ই ফেব্রæয়ারি। আগামী শুক্রবার মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে শহীদ দিবস ও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন হওয়ায় ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়ে খুব তাচ্ছিল্যভাবে প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় ছিলেন তিনি বায়ান্নোর একুশে ফেব্রæয়ারীতে’? ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরা ও তাদের সন্তান সন্ততিরা সঙ্গতকারণেই বিস্মৃতি আর বিভ্রান্তির বেড়াজালে বাস করে। ইতিহাস বিকৃতি ও অন্ধত্বের মধ্যে এরা এখনও পাশবিক আনন্দ পায়। যতো ভুলানো যায় ততোই ঢাকা যায় তাদের পূর্বসূরীদের বিশ্বাসঘাতকতার অপকর্ম।
তাই ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকা নিয়ে যারা খুব বিভ্রান্ত তাদের জন্য তাঁর জীবনী থেকে তুলে দেওয়া হলো। পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভুখা মিছিল বের করলে ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানীরা তাকে গ্রেফতার করে দুই বছর পাঁচ মাসের জন্য জেলে পুরে। যেমনটা তার জীবনবৃত্তান্তে লেখা আছে, ‘১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা করেন ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু’। এর প্রতিবাদে বন্দি থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রæয়ারিকে রাজবন্দি মুক্তি এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি দিবস হিসেবে পালন করার জন্য বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতি আহŸান জানান। ১৪ ফেব্রæয়ারি বঙ্গবন্ধু এ দাবিতে জেলখানায় অনশন শুরু করেন।
২১ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু জেলখানা থেকে এক বিবৃতিতে ছাত্র মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একটানা ১৭ দিন অনশন অব্যাহত রাখেন। জেলখানা থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়ে তাকে ঢাকা জেলখানা থেকে ফরিদপুর জেলে সরিয়ে নেওয়া হয়। ২৬ ফেব্রæয়ারি ফরিদপুর জেল থেকে তিনি মুক্তিলাভ করেন’। – (তথ্যসূত্র: এনওয়াই বাংলা)।