February 14, 2025
আন্তর্জাতিক

আমাজনে আগুন নেভাতে অর্থ দিচ্ছেন জি-৭ নেতারা

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

পুড়তে থাকা আমাজন বনাঞ্চলে আগুন নেভাতে ব্রাজিল ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে ২ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিতে রাজি হয়েছেন জি-৭ নেতারা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার একথা জানিয়েছেন। ফ্রান্সের বিয়ারিৎজে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এ সাহায্যের উদ্যোগ এল।

আগুন নেভানোর জন্য আরো অগ্নিনির্বাপক বিমান নামাতে প্রাথমিকভাবে খুব ‘শিগগিরই এ তহবিল সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। তিনি আরো বলেন, ওই অঞ্চলে আগুন নেভানো এবং উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে সেনা সহায়তাতেও প্রস্তুত আছে ফ্রান্স।

তবে কেবল অর্থ সহায়তাই নয় দীর্ঘমেয়াদে বনের সুরক্ষা এবং উজাড় হয়ে যাওয়া বনাঞ্চলকে আবারও অরণ্যে পরিণত করার উদ্যোগ নিতেও আমাজন বেসিনের দেশগুলোর সঙ্গে নেতারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আগামী মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তুলে ধরে হবে বলে জানান তারা। আমাজনকে অরণ্যায়ন করার পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘের এ অধিবেশনে আলোচনা করতে চান জি-৭ নেতারা।

জি-৭ সম্মেলন শুরুর আগেই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজনে রেকর্ড অগ্নিকাণ্ডকে ‘আন্তর্জাতিক সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন ম্যাক্রোঁ। তখন তিনি বিষয়টি জি-৭ সম্মেলনের আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, আমাদের ঘর জ্বলছে।

ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইনপে) উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ বছর প্রথম আট মাসে ব্রাজিলে প্রায় ৭৫ হাজার অগ্নিকাণ্ডের কথা জানায়। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি। ওইসব অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগই আমাজন অঞ্চলে। আগুনের ভয়াবহতা এবং তা নিয়ে ব্রাজিল সরকারের রীতিমত উদাসিনতায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

পরিবেশবাদীরা আমাজনের বিস্তৃত অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন। কট্টর ডানপন্থি এ প্রেসিডেন্ট বন উজাড়ে কাঠুরে ও কৃষকদের উৎসাহিত করছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *