July 27, 2024
খেলাধুলালেটেস্ট

আফিফ ঝড়ে টাইগারদের অবিশ্বাস্য জয়

ক্রীড়া ডেস্ক

অবশেষের হারের বৃত্ত ছিন্ন করলো বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে একমাত্র টেস্টে হারলেও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুরুটা হলো ঘুরে দাঁড়ানো এক জয়ে। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

১৪৫ রানের লক্ষ্যে শুরুটা মন্দ ছিল না বাংলাদেশের। তবে সেই ধারাটা আর টেকেনি বেশিক্ষণ। স্কোর যখন ২৬ তখন পরপর দুই বলে আউট হয়ে যান লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। পরে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। তখন মনে হচ্ছিল এ যেন উইকেট হারানোর মিছিল! ১০ বলের মধ্যে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

পরে মাহমুদউল­াহ ও সাব্বির মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৬০ রানের ব্যবধানে দুজন ফিরে গেলে ম্যাচ প্রায় ঝুঁকে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ের দিকে। তবে সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ম্যাচটা নিজেদের দিকে চলে আসে আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেকে হোসেনের ঝড়ো এক জুটিতে। বিশেষ করে সবে মাত্র দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা আফিফ হোসেনই গড়ে দেন এর মঞ্চ।

শুরু থেকে আফিফ ঝড় তুলে ম্যাচ ছিনিয়ে আনেন জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে। মাত্র ২৪ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। অবশ্য জয় থেকে ৩ রান দূরে থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে ৫২ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও একটি ছয়। তাতে ভঙ্গ হয় মোসাদ্দেক ও আফিফের ঝড়ো ৮২ রানের জুটির। তবে ১৭.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারালেও জয় নিশ্চিত করেন সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক। সাইফ চার মেরে জয় তুলে নেন। মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৩০ রানে। ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরাও হয়েছেন আফিফ। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন কাইল জার্ভিস, চাতারা ও মাদজিভা।

তার আগে মিরপুরে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। আউটফিল্ড ভেজা থাকার কারণে দেরিতে খেলা শুরু হওয়ায় খেলা গড়ায় কার্টেল ওভারে।

অবশ্য শুরুটা ছিল রেকর্ডময়। সাকিব আল হাসান দ্বিতীয় ওভারেই বল তুলে দেন তাইজুলের হাতে। প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই স্পিনার প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তার প্রথম শিকার ব্রেন্ডন টেলর। যা টি-টোয়েন্টিতে খুবই বিরল। অবশ্য তাতেও সমস্যা হয়নি জিম্বাবুয়ের। অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটে চলে রানের চাকা। তার মাঝে আরভিনকে থিতু হতে দেননি মোস্তাফিজ। ১১ রানে বিদায় দেন তাকে। তার পরেই ছন্দ পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের। বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ানো মাসাকাদজাকে ফেরান সাইফউদ্দিন। ২৬ বলে ৩৪ রানে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর দ্রুত গতিতে ব্যাটিং এলোমেলো হয়ে যায় তাদের। ৬৩ রানে পতন হয় ৫ উইকেটের।

তবে সেই জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করার মতো স্কোর দাঁড় করিয়েছে শেষে। আর এই স্কোরের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রায়ান বার্লের। তাণ্ডব চালিয়ে করেছেন ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৩২ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন তিনি ৫৭ রানে। যেখানে সাকিবের ১ ওভার থেকেই নিয়েছেন ৩০ রান।তার সঙ্গে অবদান রেখেছেন টিনোটেন্ডা মুতোম্বজি। এই ব্যাটসম্যান ২৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন হার মানা ২৭ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম, সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক ও মোস্তাফিজুর রহমান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *