অস্ত্র আইনের মামলায় ফের রিমান্ডে কাউন্সিলর রাজিব
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
অস্ত্র আইনের মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের চার দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-২ এর এসআই প্রণয় কুমার প্রামাণিক আসামিকে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন।
রাজিবের পক্ষে অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত আলী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, রাজিব রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজিব মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র, গুলি ও মাদকের ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলদারিত্বের মাধ্যমে এলাকায় অপরাধ জগতের ‘সুলতান’ হিসেবে আবির্ভূত হন।
রাজিবের সহযোগী অন্যান্য ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলির উৎসস্থল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য, তার কাছে আরো কোনো অস্ত্র গুলি আছে কি না তার তথ্য উদ্ধারের জন্য, মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা।
১৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে তারেকুজ্জামান রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন র্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান। গত ২১ অক্টোবর দুই মামলায় রাজিবের সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৪ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।