অভয়নগরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ
মল্লিক খলিলুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীনের নেতৃত্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া বাজারে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহাকাল মৌজায় ১৯৭২ সালে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইসারত মোল্যা খতিয়ান নম্বর ১৮ মহাকাল মৌজার ৩০ শতক জমির মধ্যে থেকে দশমিক ৫০ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। ওই জমি মহাকাল গ্রামের আজিজুর রহমানের নিকট থেকে তিনি ক্রয় করেছিলেন ।
ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত ওই জমির বর্তমান মালিক মো: রবিউল ইসলাম জানান, আমার দাদা ওই জমি ক্রয়ের পর থেকে ওই জমির ওপর দোকান ঘর নির্মান করেন। পরবর্তীতে আমার পিতা মৃত ওহাব মোল্যা ওই দোকানে কাঠের ব্যবসা করতেন। এরপর তিনি ব্যবসা বন্ধ করে ঘরটি ভাড়া দেন। সে ভাবেই আমি ইদ্রিস গাজীর নিকট ভাড়া প্রদান করি। আমার ভাড়াটিয়া ওই ঘরে গ্রীল নির্মানের ব্যবসা করে আসছেন। গত ১২ ফেব্রæয়ারী মহাকাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খান এ মজলিস ওই জমি বিদ্যালয়ের বলে দাবি করে এক সপ্তাহের মধ্যে দেকানঘর অপসারণের জন্য একটি নোটিশ প্রেরন করেন। কিন্তু গত শনিবার দুপুরে ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীন তার সন্ত্রাসী রাজু সরদার, মুজাহিদ হোসেন ও ইকরাম হেসেনকে সাথে নিয়ে আমার ভাড়াটিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে।
দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া মো: ইদ্রিস আলী গাজী বলেন, আমি দুপুরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে খেতে যাই। বাড়ি থাকা অবস্থায় অন্য ব্যবসায়ীরা আমাকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলার খবর দেয়। আমি এসে দেখি আমার ঘরের ফিছনের ওয়াল ভেঙ্গে ফেলেছে এবং ষ্টীল আলমারী থেকে নগদ টাকাও নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ীরা রোববার রাত থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন।
অপরদিকে মহাখাল স্কুল এন্ড কলেজের জমি অবৈধ দখল মুক্ত করার জন্য গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘন্টা মহাখালে যশোর খুলনা মহা সড়কে মানববন্ধন করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
মহাকাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খান এ মজলিস বলেন, ঘটনার দিন আমি যশোর বোর্ড অফিসে কাজে গিয়েছিলাম। আপনি সভাপতির সাথে কথা বলেন।
ওই কলেজের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীন বলেন, বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখলমুক্ত হয়েছে। সেখানে আমি একা নই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ওই জমি দখলমুক্ত করেছি। যেহেতু বিদ্যালয়ের সম্পত্তি। আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি। তাই আমিও সাথে থেকে উচ্ছেদ করেছি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। দু’পক্ষকেই শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার কথা বলেছি। যেহেতু ভূমি সংক্রান্ত তাই আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসাইন বলেন, ঘটনার পরে বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তবে কেউ অবৈধভাবে থাকলেও তাকে সময় দেয়া উচিৎ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পরেও দু’পক্ষকেই বলেছি আপনারা দু’জন আমিন নিয়ে আসেন, সাথে জেলা পরিষদের এক জন আমিন রেখে সমাধান করে নিতে।