July 27, 2024
আঞ্চলিক

অভিন্ন নীতিমালা চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে খুবি ও কুয়েটে শিক্ষকদের মানববন্ধন

খবর বিজ্ঞপ্তি

অসামঞ্জস্যপূর্ণ অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খুবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ও কুয়েট শিক্ষক উদ্যোগে পৃথকভাবে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর উদ্যোগে ক্যাম্পাসের হাদী চত্বরে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতের প্রতিফলন না ঘটিয়ে শিক্ষকদের নিয়োগ, পদোন্নয়ন/পদোন্নতি সংক্রান্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ অভিন্ন নীতিমালা চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাতের সভাপতিত্বে মানব-বন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন রায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক নিশাত তারান্নুম, মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক সৈয়দ আজহারুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন এবং সূচনা বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস।

অপরদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কালীন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফ হোসেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল এর সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সারোয়ার, প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান আলী, প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব, সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ হেলাল-আন-নাহিয়ান, সহকারী অধ্যাপক মাসরুরা মোস্তফা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং তাদেরকে তিনি সর্বদাই শ্রদ্ধা করতেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে তিনি সম্মানের স্থান দিতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, গবেষণা করতে পারেন, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনি স্বায়ত্বশাসিত করেছিলেন। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য যে নীতিমালা প্রণীত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বা শিক্ষকদের মতামত বা সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যা শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এটি কোনো মহলে গভীর ষড়যন্ত্র হতে পারে। এই নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *