April 19, 2024
আন্তর্জাতিক

ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলা, ইরানকে ট্রাম্পের হুমকি

বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে ইরাকের বিক্ষোভকারীরা। ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনার দায় নিতে হবে বলে ইরানকে ‘হুমকি’ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনী। দূতাবাসের প্রধান ফটক ভেঙে তারা ভেতরে ঢোকে, ভবনে পাথর ছোড়ে এবং একটি নিরাপত্তা চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের রুখতে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মীরা।

তবে এ ঘটনায় কোনো কূটনীতিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া, দূতাবাস খালি করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

পরে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন জানায়, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের প্রায় ৭৫০ সেনা মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হচ্ছে। পরে আরও সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেন, মার্কিন সম্পদ ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। বাগদাদে আমরা তারই প্রমাণ পেলাম। এসময় সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আরও সেনা মোতায়েন করাই যৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে কুয়েতে ৭৫০ মার্কিন সেনা পাঠানো হচ্ছে। প্রয়োজনে পরবর্তীকালে আরও চার হাজার সেনা পাঠানো হবে মধ্যপ্রাচ্যে।

বর্তমানে পাঁচ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা রয়েছে ইরাকে।

এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হামলার পর নতুন বছরের শুরুতে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, সব প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে ইরানকে। এর জন্য তাদের ‘বড় মাসুল’ দিতে হবে। এটা কোনো সতর্কবার্তা নয়, এটা হুমকি।

এছাড়া, পরবর্তীকালে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে যাবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি কি এটা চাই? না। আমি শান্তি চাই। আমি শান্তি পছন্দ করি। ইরানেরও শান্তিই চাওয়া উচিৎ। যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া ‘কাতাইব হিজবুল্লাহ’র ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় মার্কিন সেনারা। এতে অন্তত ২৫ যোদ্ধা নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়। মঙ্গলবার বাগদাদে নিহত যোদ্ধাদের দাফন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *