April 26, 2024
জাতীয়

পেঁয়াজ: আড়তে দাম কমার দাবি, খুচরায় প্রভাব নেই

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

গত দুদিনে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা কমেছে বলে দাবি করলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে তার তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর একাধিক কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ। তবে সুপার শপগুলোতে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে ১০ টাকা কমে। গত সপ্তাহেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকায়।

শ্যামবাজারের আড়তদার ইদ্রিস আলী মধু শুক্রবার বলেন, গত দুই দিনে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা কমে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারা বলছেন, তারা পাইকারদের কাছ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে কিনছেন। তারা খুচরায় ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন।

মহাখালী কাঁচাবাজারে আল­াহর দান স্টলের বিক্রেতা কাঞ্চন বলেন, তিনি কারওয়ান বাজারের পাইকারের কাছ থেকে ১৩০ টাকা দরে কিনেছেন। তিনি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। পশ্চিম ধানমন্ডির জাফরাবাদ এলাকার খুচরা বিক্রেতা গিয়াসউদ্দিন জানান, তিনি রায়েরবাজার আড়ত থেকে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা পাইকারি মূল্য নেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীর শ্যামবাজার এবং মিরপুর এক নম্বর সেকসনের আড়তগুলোতে শুক্রবার দেশি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ছিল প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। আমদানি করা মিয়ানমার ও ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে পেঁয়াজের দর চড়ছে। তারপর থেকে সব ধরণের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে স¤প্রতি ব্যাঙ্গালোরের বিশেষ ধরণের ৯ হাজার মেট্রিক টন পেয়াজ চেন্নাই বন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।

এবিষয়ে শ্যামবাজারের আমদানিকারক আব্দুল মজিদ বলেন, চেন্নাই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানির যে সুযোগ উন্মুক্ত করা হয়েছে তার সুফল পাবে কেবল মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষে ওই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *