April 24, 2024
জাতীয়

ঢাকায় বোমার হামলার লক্ষ্য পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

সায়েস ল্যাবরেটরি মোড়ে মন্ত্রী তাজুল ইসলামের যাত্রাপথে বোমা হামলার লক্ষ্য পুলিশই ছিল বলে মনে করেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

গতকাল রবিবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে বোমা হামলার ঘটনা পূর্বের পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার বাইরে কিছু নয়। এটারও টার্গেট ছিল পুলিশ।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম শনিবার রাতে ধানমণ্ডিতে যাওয়ার পথে তার গাড়িবহর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পেরিয়ে সিটি কলেজের সামনের রাস্তায় ঢোকার আগে পুলিশ বক্সের সামনে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে মন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত একজনসহ দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এরপর শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্র“প খবর দেয়, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে ককটেল বিস্ফোরণে ট্রাফিক পুলিশের দুই কনস্টেবল এবং কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্য আহত হন। এরপর ২৭ মে ঢাকার মালিবাগ মোড়ে এসবির গাড়িতে বোমা হামলায় আহত হন এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএস ওই দুই ঘটনাতেও তাদের অনুসারীদের জড়িত থাকার দাবি করলেও বাংলাদেশের পুলিশ বিষয়টি নাকচ করে আসছে।

পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান বলেন, সব ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে টার্গেট পুলিশ। শনিবারের ঘটনাটিও ব্যতিক্রম ছিল না। গুলিস্তান এবং মলিবাগে বোমার বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্তে দেশি-বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ অগ্রগতি আছে। তবে তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এ মুহূর্তে বিস্তারিত বলা যাবে না।

শনিবারে ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলামত জব্দ করার পাশপাশি আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে। জঙ্গি দমনে যেমন সফলতা এসেছে তেমনি বোমা এবং আগুন সন্ত্রাস ঘটনার পর পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এতে পুলিশের ওপর কেউ ক্ষুদ্ধ থাকতে পারে। স¤প্রতি এসব হামলার ঘটনার তদন্তে এই বিষয়গুলোকেও রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শনিবারের বোমা হামলার ঘটনায় আইএসের দায় স্বীকার করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সন্ত্রাসবাদের সমস্যা বিশ্বব্যাপী সমস্যা। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না। কোনো ঘটনা ঘটলেই বিভিন্ন সাইট থেকে দায় দায়িত্ব স্বীকার করা হয়।

বাংলাদেশের ঘটনায় দায় স্বীকার বিষয়টি কতটুকু সত্য, আদৌ যোগাযোগ আছে, নাকি এটি অভ্যন্তরীণ কোনো প্রচারণা বা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ, এটা তদন্ত সাপেক্ষ। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে দেশে যেমন কাজ হচ্ছে এবং তেমনি দেশের বাইরে থেকে সহযোগিতা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, বলেন পুলিশ কমিশনার।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *