April 18, 2024
খেলাধুলা

সমর্থকদের চোখে ‘প্রিয় দল’ হবে বাংলাদেশ : রোডস

ক্রীড়া ডেস্ক

২০১৯ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এতে টাইগারভক্তদের মতো হতাশ স্টিভ রোডসও। তবে তার আশা, বড় দলগুলোর বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই উপহার দেওয়ায় সমর্থকদের চোখে ‘প্রিয় দল’ হবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে ভারতের বিপক্ষে জিততেই হতো। কিন্তু ম্যাচটি ২৮ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে বিশ্বকাপে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছেন মাশরাফি-সাকিবরা। বিশ্বকাপে নাটকীয়তা যোগ করতে বৃষ্টি বড় ভূমিকা রেখেছে। তেমনি ভূমিকা আছে বাংলাদেশেরও।

মঙ্গলবার ভারত যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে ৩৫০ রানও অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু শেষে মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩১৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা বাংলাদেশ হারলেও অবশ্য দলের পারফরম্যান্সে বেশ খুশি টাইগার কোচ।

রোডস বলেন, ‘যারা সেমিফাইনালে যাচ্ছে তাদের সবাইকে আমার শুভকামনা। কিন্তু আমরা যেতে পারলে ভালো লাগতো। আমি যেভাবে বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলেছি তাতে আমি খুশি। আমরা যেভাবে লড়াই করেছি তাতে আমরা সমর্থকদের প্রিয় দল হবো।’

‘আমি মনে করি, রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর আমরা ভালো করেছি। যে লক্ষ্য আমরা পেয়েছিলাম তা নিয়ে আমরা খুশি ছিলাম। এটা ৩৭০-৩৮০ কিংবা ৪০০ রানের লক্ষ্যও পেতে পারতাম। আমরা ওই অবস্থান থেকে ফিরে আসতে দারুণ স্পিরিট এবং লড়াইয়ের দক্ষতা দেখিয়েছি। এটা দেখতে ভালোই লেগেছে। এটা দলের উদ্দীপনার প্রতিফলন।’

‘আমরা ৩টি জয় পেয়েছি কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে বড় দলগুলোকে চাপেও ফেলেতে পেরেছি। অল্প একটু ভাগ্যের সহায়তা পেলে আমরাও শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে পারতাম।’

রোডস মনে করেন, বড় দলের বিপক্ষে ভালো শুরুর প্রয়োজন ছিল এবং টসও বড় ভূমিকা রেখেছে। টাইগার কোচ বলেন, ‘ড্রেসিং রুমে অনেক হতাশ ক্রিকেটার ও কোচ আছেন। আমরা আরও সামনে যেতে উন্মুখ ছিলাম। কিন্তু হয়নি।’

‘আমরা ভালো দলের (ভারত) বিপক্ষে খেলেছি, এমন একটা দল যারা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছে। আমরা ওদের চাপে রেখেছিলাম কিন্তু শুরুতেই কিছু ভুল করে ফেলেছিলাম। তবে আমরা অনেক ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত লড়েছি। টসও বড় ভূমিকা রেখেছে। টসের কারণে ২০-৩০ রান বেশি হয়েছে। ফলে ২৮ রানে হারা, মানে প্রায় সমান-সমান।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *