April 19, 2024
জাতীয়

পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ বহাল

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে গ্রিন লাইন পরিবহনের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।

গত বছর ২৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাস চাপায় পা হারান প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকার। পরে গত বছরের ১৪ মে ক্ষতিপূরণ চেয়ে সাবেক সাংসদ আইনজীবী উম্মে কুলসুম হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

গত ৬ মার্চ রিটের প্রাথমিক শুনানিতে রাসেল আদালতকে বলেছিলেন, পা হারানোর পর এখন পর্যন্ত গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা করেনি। এমনকি কোনো খোঁজখবর বা চিকিৎসার ব্যয়ও বহন করেনি।

এরপর গত ১২ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহনের ব্যাখ্যা শুনে হাই কোর্ট দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেয়। সঙ্গে ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রুলও জারি করে আদালত। রাসেল সরকারকে কেন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

সে আদেশ স্থগিত চেয়ে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার আদালত গত ১৪ মার্চ হাই কোর্টের আদেশটি স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠায়। রোববার আপিল বিভাগে গ্রিন লাইন পরিবহনের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল বাসেত মজুমদার ও মো. ওজিউল­াহ। রিটকারী পক্ষে শুনানিতে ছিলেন খবির উদ্দিন ভূঁইয়া।

পরে রিট আবেদনকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকাসহ যাবতীয় খরচ দিতে হাই কোর্টের আদেশটি বহাল থাকছে। গত ১২ মার্চ ওই আদেশে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের খরচে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাসেলের কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলে আদালত।

এছাড়া রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে, সে খরচও গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়। আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ৩১ মার্চ আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে গ্রিন লাইন পরিবহনকে নির্দেশ দেয় আদালত। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতে রোববারই অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *