মুজগুন্নী পার্ক থেকে ইজারাদারকে উচ্ছেদ করলো কেডিএ, সাময়িক বন্ধ ঘোষণা
দ: প্রতিবেদক
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) মালিকাধীন মুজগুন্নী পার্ক থেকে ইজারাদারকে উচ্ছেদ করে পার্কটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এর আগে চুক্তির শর্তভঙ্গ করায় গত ২২ জানুয়ারি পার্কের ইজারা বাতিল করে কেডিএ। কেডিএ কর্মকর্তারা জানান, সংস্কারের জন্য পার্কটি সাময়িক বন্ধ থাকবে। এটি সংস্কার করে আধুনিক মডেল শিশু পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
কেডিএ’র সিনিয়র বৈষয়িক কর্মকর্তা জি এম মাসুদুর রহমান জানান, মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৮ দশমিক ৬৭ একর পার্কটি ২০০৭ সালের ১৮ এপ্রিল এস এস ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়া হয়। ইজারার অন্যতম শর্ত ছিলো পার্কটির ভেতরে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি এবং আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করে একটি আধুনিক শিশু পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেই শর্ত মানেনি।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া পরিশোধ না করা, পার্কটি সাব লিজ দেওয়া, অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশ নষ্ট এবং অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একাধিকবার ইজারা গ্রহিতাকে সতর্ক করা হয়। এতেও কাজ না হওয়ায় বৈঠকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গিকারানামা চাওয়া হয়। ইজারাদার শর্ত মেনে চলার অঙ্গিকারও করেন। এরপরও ভাড়া পরিশোধ না করায় কেডিএর পক্ষ থেকে জেনারেল সার্টিফিকেট আদালতে মামলা করা হয়।
তিনি জানান, তারপরও বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল করা হয়। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ইজারা গ্রহিতা কেডিএর বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন এবং ইজারা বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চান। কিন্তু গত ১০ ফেব্র“য়ারি আদালত শুনানী শেষে ওই আবেদন নামঞ্জুর হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল কেডিএ চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসানের উপস্থিতি পার্কের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান এতে নেতৃত্ব দেন। এ সময় পুলিশ ও র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কেডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাবিরুল আলম বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বে মাধ্যমে পার্কটিকে আধুনিক শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সংস্কারের পর এটি হবে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে আধুনিক শিশু পার্ক।