সব দাবি মেনেছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত হন : পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে এখন মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাহিনীটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠানে এই নির্দেশ দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনাদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। যা যা দাবি করেছেন সবই মেনে নিয়েছি। সব সময় লক্ষ রাখতে হবে, দুর্নীতি একটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর মাদক একটা পরিবার না, একটা দেশকে ধ্বংস করে। এই ধরনের কাজ যেন আর না হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ শান্তি পাবে, নিরাপত্তা পাবে। সেভাবেই আমরা দেশটাকে গড়ে তুলব। এই লক্ষ্য অর্জনে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের শান্তি রক্ষায় পুলিশকে জনবান্ধব হয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার নিজের কোনও ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা বা চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি শুধু দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যেতে চাই যাতে বাংলাদেশকে একটা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। সেইক্ষেত্রে সকল পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলব, পুলিশকে হতে হবে জনবান্ধব পুলিশ, যেটা জাতির পিতা নির্দেশ দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি (বঙ্গবন্ধু) কিন্তু এই কথাই বলে গেছেন যে, এখন আর ঔপনিবেশিক শক্তি না, সেই ব্রিটিশ আমলও না, পাকিস্তান আমলও না। এটা বাংলাদেশ। আর এই দেশের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে আছে এই পুলিশেরই বাবা, মা, ভাই-বোন সব। তাই দেশের মানুষ নিরাপদে, শান্তিতে থাকলে পুলিশ সদস্যদের পরিবারও শান্তিতে থাকবে বলে উলেখ করেন শেখ হাসিনা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হলে নিজের পরিবারেরই উন্নতি হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে এই কথাটাই মেনে চলতে হবে এবং সেইভাবেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেই পরিবেশ তৈরিতে পুলিশ বাহিনীকেই সবচেয়ে বেশি শ্রম দিতে হয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে শ্রমটা আপনারা দক্ষতার সাথে দিয়েছেন। যার জন্য অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের যাত্রা শেষ হয়নি। আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই আপনাদের সেইভাবে আন্তরিকতার সাথে জনবান্ধব পুলিশ হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের ভেতর আস্থা-বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও আগুন সন্ত্রাসের মতো অনেক ‘চড়াই উৎরাই’ পার করে যেতে হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সব অবস্থার মোকাবিলা করেছে। জঙ্গিবাদ মোকাবিলাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনারা যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। অনুষ্ঠানে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া পুলিশের বর্তমান জনবল প্রায় সোয়া দুই লাখ থেকে আরো অন্তত ৫০ হাজার বাড়ানোর অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রীও পুলিশের জনবল বাড়ানোরও ইঙ্গিত দেন।
Read More