অহিংসার ঝর্ণাধারাকে শেষ বিদায়
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মহাত্মা গান্ধীর অহিংসার আদর্শে ব্রতী হয়ে মানব ও সমাজসেবার যে দৃষ্টান্ত ঝর্ণাধারা চৌধুরী স্থাপন করে গেছেন, তা অনুসরণ করেই তাকে স্মরণের প্রত্যয় জানালেন তার শবযাত্রায় সামিল বিভিন্ন অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ঝর্ণাধারা। সমাজ সেবার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া ঝর্ণাধারা চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় ঝর্ণাধারার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে তার কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঝর্ণাধারা চৌধুরী শুধু মুখে মুখেই আদর্শ প্রচার করতেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অহিংসার চেয়ে বড় হাতিয়ার আর কিছু নেই। শান্তির লক্ষ্যে অহিংসা আর ত্যাগের আদর্শ তিনি আমাদের শিখিয়ে গেছেন। সমাজসেবায় তার আগ¤প্রদায়িক ও মানবতাবাদী আদর্শ অনুসরণ করব।
মানবাধিকারকর্মী ও সাংসদ আরমা দত্ত জানান, সাত বছর বয়স থেকে তার সঙ্গে ঝর্ণাধারার সখ্যতা। দাদা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মাধ্যমে যে পরিচয়ের সূত্রপাত, তা টিকে ছিল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।