৯৯৯ এ ফোন, ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নগরের বিশ্বকলোনী ডি ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২ সপ্তাহ আগে রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যাল নামে একটি ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা মো. হাসান তারেকের (৩৭) সঙ্গে বিশ্বকলোনী ডি ব্লকের বাসিন্দা ইশরাতের (১৮) পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তারেককে বাসায় ডাকেন ইশরাত।
তারেক বাসায় আসার বেশকিছুক্ষণ পর ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ চক্রের তিন সদস্য ইফতেখার, তালিম এবং সালেহিন এসে তারেককে ভয়-ভীতি দেখান। তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে বিকাশের মাধ্যমে তারেক তাদের ২৪ হাজার টাকা দেন।
তবে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ চক্রের সদস্যরা তারেকের কাছ থেকে আরও টাকা চাইলে বোন শারমিনকে চেক বই নিয়ে ডেকে পাঠান তিনি। ফোনে তারেকের কথায় সন্দেহ হলে শারমিন বিষয়টি ৯৯৯ এ ফোন করে খুলশী থানা পুলিশকে জানান।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউএসটিসির সামনে থেকে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ চক্রের সদস্য মো. তালিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারেককে উদ্ধার এবং ইফতেখারুল আলম এবং সালেহিন আরাফাতকে বিশ্বকলোনী ডি ব্লকের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, ৯৯৯ এ অভিযোগের পরপরেই খুলশী থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভিক্টিম তারককে উদ্ধারের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, গ্রেফতার তিন যুবক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা মেয়েদের মাধ্যমে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ করে লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন বলে স্বীকার করেছেন। এ চক্রের অন্য দুই সদস্য পলাতক ইসরাত এবং রুমিকে গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
যেহেতু ঘটনাস্থল আকবরশাহ থানাধীন এলাকায় তাই ভিকটিম এবং আসামিসহ সবাইকে ওই থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে ভিকটিমের পক্ষে বোন শারমিন ফারজানা মামলা দায়ের করবেন। আকবরশাহ থানাতেই বাকি আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।