November 24, 2024
জাতীয়

৯৯৯-এ ছেলের ফোন পেয়ে মাকে থানায় নিলো পুলিশ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ছেলে সোহাগকে (২৩) নিয়েই থাকেন জান্নাতুন বেগম (৩৭)। বাড়িতে এসে মায়ের কোলে তিন মাস বয়সী একটি মেয়ে শিশু দেখে তার পরিচয় জানতে চান সোহাগ। কিন্তু মায়ের কাছে সদুত্তর না পেয়ে তিনি শরণাপন্ন হন পুলিশের।
৯৯৯ এ কল করে অভিযোগ দেন সোহাগ। আর সেই অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন তার মা ও শিশুটিকে। গতকাল বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার শেখটোলায় এ ঘটনা ঘটে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মো. মশিউর রহমান বলেন, জান্নাতুন বেগমের কোলে তিন মাস বয়সী একটি মেয়ে শিশু দেখে তার পরিচয় জানতে চান ছেলে সোহাগ। কিন্তু মা কোত্থেকে কেন শিশুটিকে এনেছেন তা না বলায় ছেলে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কলে করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নারী ও শিশুটিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই নারীর কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে শিশুটির মাকে কল করা হয়। ফোনে ওই শিশুর মা পরিচয়দানকারী নারী এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করেন এবং তিনি জানান যে তিনি পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তার শিশুটিকে লালন-পালনের জন্য জান্নাতুল বেগমের কাছে রেখেছেন। ঘটনার পর শিশুটির মা ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ঢাকা থেকে শিবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তবে পুলিশ হেফাজতে থাকা শিশুটি সম্পর্কে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, আটক জান্নাতুন বেগম ও আবদুর রহিম দম্পতির ছেলে সোহাগ। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কারণে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
সোহাগ বলেন, হঠাৎ করে মায়ের কোলে শিশুটি দেখে কে জানতে চাই। কিন্তু মা এ বিষয়ে কোনো সদুত্তোর দিতে না পারায় আমার সন্দেহ হয়। পরে ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানাই।
আটক ওই নারীর বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদশর্দক (এসআই) রনি বলেন, আটক জান্নাতুনের পূর্ব পরিচিত এক নারী ঢাকার আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ওই নারী তার সন্তানকে লালন-পালন করতে গত ২৪ ফেব্র“য়ারি (রোববার) জান্নাতুনের কাছে দিয়েছেন। এর বেশি ওই নারীর কাছ থেকে আর কিছুই জানা যায়নি। শিশুটির মা পরিচয়দানকারী ওই নারী এলে বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *