’৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের জন্য আমেরিকা দায়ী: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমেরিকা সরকার গত পরশুদিন যে কথা বলেছে এজন্য নিন্দা জানাই। তারা মুক্তিযোদ্ধার সময়ও সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল।
একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের জন্যও তারা দায়ী ছিল।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাগরিক কমিটি ঢাকা-১২।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমেরিকা যা বলেছে এজন্য তাদের সম্পর্কে দুই-চারটা কথা বলতে হয়। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করতে সে সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নগদ টাকা পরিশোধ করে তাদের কাছ থেকে চাল ও গম কিনেছিলেন। কিন্তু সেই চাল-গম সময়মতো এসে পৌঁছায়নি চট্টগ্রাম বন্দরে। তিল তিল দুর্ভিক্ষ হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। ২৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এ দুর্ভিক্ষের জন্য তারা দায়ী। পয়সা দিয়ে চাল-গম কিনলাম কিন্তু পেলাম না।
মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল আন্দোলনের নামে ২০১৭ রাস্তায় যখন মানুষ মারলো, বোমা ফাটালো, এটা মানবতাবিরোধী ছিল না তখন তাদের নীতিবাক্য কই ছিল। স্বাধীনতার পর তারা আমাদের বলেছিল বোটম লেস বাস্কেট, এখন তারা এসে দেখে যাক, বাস্কেট কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উপচে পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীরা আমাদের একটু সম্মানকেও খামচে ধরতে চায়, তারা মুক্তিযোদ্ধা হতে চায়। শুধু তাই নয় সময়ে সময়ে আওয়ামী লীগে বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে যায়, তাই আমাদের সর্তক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র থেমে নেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছেই।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ৭ মার্চে আমরা স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছি। এরপর কে কি বললো সেটা কোনো বিষয় না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে কেউ সেদিন থেমে ছিলেন না। তেজগাঁও থানায় দুই কনস্টেবল অস্ত্র নিয়ে চলে এসেছিল যুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বলেই নয় মাসে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় ১৬ হাজার সৈনিক প্রাণ দিয়েছে সেটিও আমাদের মনে রাখতে হবে। এজন্য আমি বন্ধু প্রতীম দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভাকে গার্ড অব অনার দেওয়া কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দীন আহমদ বীরবিক্রম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, “যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই” গানটির গীতিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান মতিউর রহমান।