৬৩৪ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি, প্রবৃদ্ধি ৪৬%
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পণ্য রপ্তানির মতো সেবা রপ্তানিতেও বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি নিয়ে শেষ হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছর। এক মাস আগে অর্থবছর শেষ হলেও বৃহস্পতিবার গত অর্থবছরের সেবা খাতের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি।
তাতে দেখা যায়, সেবা রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৩৫ কোটি (৬.৩৫ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। এই অংক ২০১ ৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ২৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত অর্থবছরে সেবা খাতের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্র ধরা ছিল ৫০০ কোটি ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয় হয়েছিল ৪৩৪ কোটি ডলার। সর্বশেষ জুন মাসে সেবা রপ্তানিতে উলম্ফন হয়েছে। এই মাসে ৯২ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়েছে। যা লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন এবং গত বছরের জুন মাসের চেয়ে ৯১ শতাংশ বেশি।
জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। অঅর গত বছরের জুনে সেবা রপ্তানি থেকে এসছিল ৪৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার। সেবা খাতের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী দিনগুলোতে এ খাতের রপ্তানি আরও বাড়বে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন মন্ত্রী।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় সেবা খাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রদত্ত শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সেবা খাতের রপ্তানি স¤প্রতি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ সুবিধা প্রাপ্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, গত অর্থবছরে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পণ্য এবং সেবা দুক্ষেত্রেই আমরা খুশি। ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা ধরেছি সেটা অর্জিত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সেবা খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৬২২ কোটি ১৯ লাখ ডলারই এসেছে সরাসরি সেবা খাত থেকে। অর্থাৎ মোট রপ্তানির ৯৮ শতাংশই এসেছে সরাসরি সেবা খাত থেকে।
বাকিটা দেশের বন্দরগুলোতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর কেনা পণ্য ও সেবা এবং মার্চেন্টিংয়ের অধীনে পণ্য বিক্রির আয়। কোনো অনাবাসীর কাছ থেকে পণ্য কিনে একই পণ্য কোনো অনাবাসীর কাছে বিক্রি করাকে মার্চেন্টিং বলে। এই প্রক্রিয়ায় মোট বিক্রি থেকে মোট ক্রয় বাদ দিয়ে নিট মার্চেন্টিং রপ্তানি আয় হিসাব করা হয়। দেশের স্থল, সমুদ্র বা বিমান বন্দরে বিদেশি পরিবহনগুলো সেসব পণ্য ও সেবা- যেমন জ্বালানি তেল ও মেরামত সেবা-কিনে থাকে সেগুলোকে সেবা খাতের আওতায় ধরা হয়েছে।