January 21, 2025
জাতীয়লেটেস্ট

৫০ লাখ পরিবারকে দিতে ১২৫৭ কোটি টাকা ছাড়

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আগামী ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টাকা দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। বিতরণ শুরু হওয়ার পর চলবে ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার (১১ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের দুই শাখা থেকে এ অর্থ ছাড় করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য মোট এক হাজার ২৫৭ কোটি ছাড় করা হয়েছে। এ কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেখভাল করা হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুকূলে অর্থবিভাগ এ টাকা ছাড় করেছে। অর্থ বিভাগের বাজেট-১ শাখা থেকে ছাড় করা হয়েছে ৬২৭ কোটি টাকা, আর বাজেট-৩ শাখা থেকে ছাড় করা হয়েছে ৬৩০ কোটি টাকা। এসব টাকা সুবিধাভোগীদের মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর জন্য সার্ভিস চার্জ বাবদ ছাড় করা হয়েছে আরও সাত কোটি টাকা।

জানা গেছে, উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে। তবে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সহায়তায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বর্তমানে যেসব সহায়তা পাচ্ছে, এ তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তালিকার কাজ শেষ করা হয়েছে ৭ মে। অবশ্য এখনো যাচাইয়ের কাজ চলছে।

সূত্রে আরো জানায়, পরিবারগুলোকে টাকা দেওয়া হবে মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদ এবং শিওরক্যাশ। অর্থাৎ নগদ সহায়তা হলেও কাউকে নগদে টাকা দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে এমএফএসে বড় আকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। টাকা পৌঁছানোর জন্য এমএফএসগুলো পাবে প্রতি হাজারে মাত্র ছয় টাকা। হাজারে ছয় টাকা হিসাবেই পৌঁছানোর মোট খরচ দাঁড়ায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। এ টাকা সরকার বহন করবে। পরিবারগুলোর কোনো টাকা দিতে হবে না। এ কারণে খরচের জন্য আলাদাভাবে সাত কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মোট ৫০ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কাজের মধ্যে বিকাশের ভাগে রয়েছে ১৫ লাখের দায়িত্ব। সবচেয়ে বেশি ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে নগদ। বাকি ১৮ লাখ পরিবারের কাছে এ টাকা পৌঁছাবে রকেট ও শিওরক্যাশ।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে দৈনিক দুই ডলারের নিচে আয় করেন দেশে এমন লোক আছেন ১৫ শতাংশের মতো, সংখ্যায় যা আড়াই কোটির কাছাকাছি। সরকার প্রতি পরিবারের সদস্য চারজন ধরে দিয়ে এখানে দুই কোটি মানুষকে বিবেচনায় রেখেছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *