৩৮ দিন পর বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি
নতুন করোনাভাইরাসের হানায় দুই দেশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় বন্ধ থাকার ৩৮ দিন পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেনাপোল শুল্ক ভবনের কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হাসান বলেন, “বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বেনাপোল-পেট্রাপোলের লিংক রোডের শূন্যরেখায় ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশের ট্রাকে প্রথম পণ্য তোলা হয়।
এসব পণ্য চালানের মধ্যে ‘ভুট্টা, পাট ও মেসতা বীজ ছিল।’
এ পণ্য চালানের আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজ এবং রপ্তানিকারক ভারতের বন্ধন এগ্রো। বন্দর থেকে চালানটি খালাস করানোর দায়িত্বে রয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট ডিএসইম পেসকো ও সোনারগাঁও এন্টারপ্রাইজ।
আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজের মালিক উজ্জ্বল রায় বলেন, “৩৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আমাদের পণ্য চালানটি ওপারে আটকে যায়। সময় মতো এ চালান খালাস করে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলে লোকসান গুনতে হতো।”
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ওপারের কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ীদের সাথে বসে ‘বিশেষ ব্যবস্থায় দুটি পণ্যবাহী ট্রাক আনা হয়েছে।’
তবে ভারতীয় কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসছে না শূন্যরেখায় লোড আনলোড হচ্ছে বলে জানান তিনি।এ সময় উভয় দেশের কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, বিএসএফ, পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তালুকদার বলেন, “আমরা বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিছু আমদানি পণ্য নিয়ে আসতে পেরেছি।
“এরপর আস্তে আস্তে আরও পণ্যচালান বৃদ্ধি পাবে।”
যারা সেখানে কাজ করছেন তাদের মাস্ক ও পিপিইর ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরাও রয়েছেন বলে জানান তিনি।