৩৬ প্রাণহানির পর ভাঙা হলো মন্দিরের অবৈধ স্থাপনা
ভারতের মধ্য প্রদেশে মন্দিরের ছাদ ভেঙে কুয়ায় পড়ে মৃত্যু হয় ৩৬ জনের। এই ঘটনার কয়েক দিন পরে ওই মন্দিরের একাংশ স্কাভেটর দিয়ে ভেঙে দিলো স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে বিশাল পুলিশবাহিনীর উপস্থিতিতেই মন্দিরের অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলে ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন। রামনবমীতে দুর্ঘটনার পরেই মন্দিরের নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেখানকার প্রধান পুরোহিত।
ইন্দোরের বিখ্যাত বেলেশ্বর মহাদেব ঝুলেলাল মন্দিরে রামনবমী উপলক্ষে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। মন্দিরের ভেতরে একটি প্রাচীন কুয়া রয়েছে। কিন্তু পরে সেই কুয়ার উপরে ছাদ তৈরি করা হয়। সেই ছাদের উপরেই অনেকে দাঁড়িয়েছিলেন। ভিড়ের চাপেই ছাদটি ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে কুয়োর মধ্যে তলিয়ে যান বহু মানুষ। মৃত্যু হয় ৩৬ জনের।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই সঙ্গেই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত লক্ষ্মীনারায়ণ শর্মা বলেন, শক্ত ভিত না গড়েই কুয়ার উপর ছাদ বানানো হয়েছিল।
তদন্তের পরে জানা যায় প্রায় ৪০ বছর আগে এই ছাদ তৈরি হয়েছিল। গত বছরই স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছিল, এই ছাদটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে ভেঙে ফেলা উচিত। কিন্তু ট্রাস্টি সদস্যদের বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি।
তবে সোমবার বিশাল পুলিশবাহিনীর উপস্থিতিতে ভেঙে দেওয়া হয় মন্দিরের একাংশ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল, সেই জন্যই বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই কাজ চলছে বলে জানা গেছে।