৩০ মে পর্যন্ত আদালতেও ছুটি, ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চলবে
করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে আদালতও। শনিবার (১৬ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
তবে ১০ মে’র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
শনিবার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগমী ১৭ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ ও সব অধস্তন আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ২১ মে শব-ই-কদরের সরকারি ছুটি, ২২-২৩ ও ২৯-৩০ মে তারিখের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে ঈদ-উল-ফিতর এ ছুটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ছুটির সময়ে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা । এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন।
এরমধ্যে আবার সুপ্রিম কোর্টের ১৪ জন আইনজীবী সীমিত পরিসরে এক/দু’টি বেঞ্চ কিংবা অনলাইনে কোর্ট খোলার জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে একটি বেঞ্চ গঠনে অপর দুই আইনজীবীও চিঠি দিয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও প্রধান বিচারপতি বরাবরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিক জজকোর্ট খোলার আবেদন করেন।
এরপর গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ পরিস্থিতিতে কঠোর শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য ছুটিকালীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন।
তাছাড়া ছুটিকালীন হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
অপর বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তাহে দু’দিন জজকোর্টও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ দুই বিজ্ঞপ্তি জারির পর আইনজীবীরা কোর্ট চালু না করতে আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত করা হয়।
পরবর্তীকালে ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুল কোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তারপর থেকে উচ্চ আদালতসহ সারাদেশে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে বিচার কাজ অব্যাহতরয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী উচ্চ আদালতে রিট, ফৌজদারি ও কোম্পানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের অধীনের আবেদনের বিচার কাজ এবং নিম্ন আদালতে শুধু জামিন শুনানি চলছে।