২ মাস ৬ দিন পর প্রাণচঞ্চল রেলস্টেশনগুলো
স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই মাস ছয় দিন পর সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন। রোববার (৩১ মে) সকালে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে এসেছে ট্রেন। স্টেশনগুলোতেও তাই দেখা গেছে প্রাণচাঞ্চল্য। প্রথম ধাপে বিভিন্ন রুটে মোট আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে।
জানা যায়, সব স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে জীবাণুনাশক স্প্রে, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, শারীরিক দূরত্ব মেনে আসনসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অনেকটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম দিন যাত্রীদেরও ভ্রমণ করতে দেখা গেছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেন এসে পৌঁছায়নি। দুপুরের পর থেকে ট্রেনগুলো ঢাকা এসে পৌঁছাবে। বিকেল নাগাদ ঢাকা থেকে এসব ট্রেন আবার ছেড়ে যাবে।
রেলওয়ের তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালানো হবে বিভিন্ন রুটে।
রোববার (৩১ মে) সকালে সিলেট থেকে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে কালনী এক্সপ্রেস ছেড়ে এসেছে ঢাকার উদ্দেশে। চট্টগ্রাম থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছে সকাল ৭টায়। চট্টগ্রাম থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে বিকেল ৫টায় এবং চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সকাল ৯টায়। রাজশাহী থেকে বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে সকাল সাড়ে ৭টায়। খুলনা থেকে সকাল ৮টায় চিত্রা এক্সপ্রেস ঢাকার পথে রওনায়া দিয়েছে। পঞ্চগড় থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। এছাড়াও লালমনিরহাট থেকে লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে সকাল ১০টায়।
এই আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন রোববার থেকে শিডিউল অনুযায়ী চলাচল করবে।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। সেগুলো হলো, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটের নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলহাটি রুটের রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটের কপতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট রুটের মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস।
তবে আপাতত বিমানবন্দর, টঙ্গী, জয়দেবপুর স্টেশনে এসব ট্রেন থামবে না। যাত্রীদের কমলাপুর থেকেই ট্রেনে উঠতে হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ করা হয় যাত্রীবাহী ট্রেন।