২ বছর ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল পাবে সাড়ে ১০ লাখ নারী
আগামী ২০২১-২২ দুই বছর ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) নতুন চক্রের উপকারভোগীদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারি (২০২১) সালে ভিজিডি নতুন চক্র (দুই বছর) শুরু হবে।
এতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হবে ১০ লাখ ৪০ হাজার।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ অনুষ্ঠিত ‘ভিজিডি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভা’ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সমাজের নিম্নআয় ও দিন আনে দিন খায় এমন শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীরা অনেক কষ্টে আছেন। এই সময়ে প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় নারী যারা ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তাদেরকে সব ধরনের শর্তপূরণ এবং তাদের নির্বাচন করতে হবে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিগুলোকে শতভাগ নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করবে, এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, করোনা সময়ে আমাদের সব সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান আছে। পাশাপাশি অসহায় ও দুস্থ নারীদের মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। যা দেশের নারী ও শিশুদের খাদ্য পুষ্টি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিজিডি কর্মসূচি দারিদ্রপীড়িত এবং দুস্থ গ্রামীণ নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ভিজিডির মাধ্যমে দারিদ্রপীড়িত ও দুস্থ গ্রামীণ নারীরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিককে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্রতার স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
মহিলা ও শিশু বিষক মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ৭০ হাজার মাকে মাতৃত্বকাল ও দুই লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী নারীকে ল্যাক্টেটিং মা ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
এই মন্ত্রণালয় থেকে মোট সামাজিক নিরাপত্তায় উপকারভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৮৫ হাজার নারী। এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০০১-০২ থেকে ২০৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ভিজিডির মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৪০ হাজার।