২৮ চিকিৎসকের মৃত্যু, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত তিন হাজারের বেশি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত সারা দেশে চিকিৎসক, নার্সসহ তিন হাজার ১৬৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৮ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে আরও পাঁচজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ।
শনিবার তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত এক হাজার তিনজন চিকিৎসক, ৮৫৩ জন নার্স এবং এক হাজার ৩০৮ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।
শোকবার্তায় তারা বলেন, “তাদের জন্য কান্না নয়, বরং তাদের বীরত্বগাথা ও সাহসী আত্মোৎসর্গ আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। আমাদের আগামীর দুর্গম যাত্রায় তারা পথ দেখিয়েছেন।”
এই চিকিৎসকদের আত্মার শান্তি কামনা এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।মৃত চিকিৎসকদের মধ্যে বেশিরভাগই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক ছিলেন। তারা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।
দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম চিকিৎসকের মুত্যু হয় গত ১৫ এপ্রিল। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
এপ্রিলে ওই একজন চিকিৎসকই মারা গিয়েছিলেন।
এরপর গত ৩ মে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. মো. মনিরুজ্জামান।
এই মে মাসে আটজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয় করোনাভাইরাসে।
এরপর জুনের প্রথম ১২ দিনেই মারা গেছেন ১৯ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে ৩, ৪ ও ১২ জুন এই তিন দিনেই মারা গেছেন নয়জন চিকিৎসক, প্রতিদিন তিনজন করে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
মে মাসে চারজন এবং জুন মাসে একজন চিকিৎসক কোভিড-১৯ এর লক্ষণ নিয়ে জন মারা যান।