২১০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
গত আড়াই বছরে দুদকের মামলার রায়ে দুর্নীতিবাজদের সাড়ে চারশ’ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছেন আদালত। একইসময়ে দুর্নীতির মামলায় স্থাবর-অস্থাবর সবমিলিয়ে প্রায় দুই হাজার ১০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংস্থাটির সচিব মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেন ও সম্পদের তথ্য গোপন করেন তারা সেই সম্পদ যাতে লুকায়িত করতে না পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেয় দুদক। সেই সম্পদ অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করতে আদালতের কাছে আবেদন করে দুদক।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞ আদালত ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে এই পর্যন্ত ৬২০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। এই সম্পদ দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটে রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া অবরুদ্ধ রয়েছে ১ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।
সচিব বলেন, দুর্নীতি মামলা শেষ হলে এসব সম্পদের মালিক যিনি অভিযুক্ত থাকেন তার পক্ষে যদি রায় হয় তাহলে, এসবের মালিক ফিরে পান। তা না হলে এসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। সব মিলিয়ে ২১ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ অবরুদ্ধ ও ক্রোক করা আছে। এগুলো বিভিন্ন শিডিউল ভুক্ত মামলার আসামির।
তিনি বলেন, যখন কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। তখন দেখা যায় দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কত সম্পদ অর্জন করেছেন। সেটার সূত্র খুঁজতে গিয়েই তখন এই সম্পদের হিসাব যাচাই করা হয়। যখন দেখা যায়, অবৈধ সম্পদ আসামি বিদেশে পাচার করতে পারেন, সম্পদের প্রভাব খাটিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করতে পারেন বা এই সম্পদের মিসইউজ করতে পারেন তখন আসলে আদালতে বাজেয়াপ্তের আবেদন করা হয়।
সচিব মু আনোয়ার বলেন, দেশে যখন কারও সম্পদের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না, বিদেশে পাচার হয়েছে এই তথ্য পাওয়া যায়। তখন আদালতের মাধ্যমে সেই দেশের আদালতকে জানানো হয়, আসামি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে পাচার করেছেন। সেই ক্ষেত্রে বিদেশের আদালতের মাধ্যমে পাচার করা সেই অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, শুধু মাত্র দুর্নীতিবাজকে শাস্তি দেওয়া না রাষ্ট্রের অর্থ পাচার বন্ধ করা ও সেটা রিকোভার করাও দুদকের দায়িত্ব।