December 22, 2024
জাতীয়

২০৮ মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করতে হাই কোর্টের নির্দেশ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

পাবনা, চাঁদপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরার ২০৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদপুর জেলার ১৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার ২০১৫ সালের জুলাই থেকে বন্ধ ভাতা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।

এ সংক্রান্ত আটটি রিটে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু

ডেপুটি অ্যাপর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত বলেন, কয়েকজন আবেদনকারী আগে ভাতা পেতেন। কিন্তু পরে তাদের এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ তাদের গেজেট হয়নি। এ কারণে গেজেটভুক্তি ও ভাতা চেয়ে তারা রিট করেছিলেন।

আদালত রায় দিয়ে বলেছেন, ২০৮ জনকে গেজেটভুক্ত করে তাদের ভাতা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আপিল বিভাগে যাবেন বলেও বলেও জানান এ আইনজীবী।

রায়ের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত অমিত দাসগুপ্ত বলেন, আদালত বলেছেন মুক্তিযোদ্ধারা যদি অস্বচ্ছল থাকে সেটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করুণা নয়, বরং এটা তাদের অধিকার।

আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, আদালত বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বারবার কমিটি গঠন এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে জামুকা মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অসম্মানের।

গেজেটভুক্ত না করার নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালে চাঁদপুরের ১৪৯, পাবনার ৪০, কুষ্টিয়ার আট ও মাগুরার ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা আটটি রিট মামলা করেন। ২০০৪ সালে এই ২০৮ জনসহ আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামে গেজেট প্রকাশ করতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জামুকাতে পাঠায় জেলা-উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি।  কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও মন্ত্রণালয় তাদের বাদ দিয়ে গেজেট জারি করে।

এছাড়া ২০১৫ সালে চাঁদপুরের ১৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার মাসিক সম্মানী ও ভাতা কোনো কারণ না দেখিয়েই স্থগিত করে দেওয়া হয়। এতে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে উলে­খ করে ওই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে পৃথক আটটি রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেসব আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দিল উচ্চ আদালত।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *