২০২৪ সালের নির্বাচনে হেরে যেতে পারেন ঋষি সুনাক: রিপোর্ট
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার ১৫ কেবিনেট মন্ত্রী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। ভোটের এক নতুন জরিপের বরাত দিয়ে এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রধানমন্ত্রী সুনাক, উপ-প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলেসহ শীর্ষ টোরি নেতারা ২০২৪ সালে প্রত্যাশিত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ফোকালডেটা পোলিং-এর তথ্য অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, ব্যবসাবিষয়ক মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস, কমন্স নেতা পেনি মর্ডান্ট ও পরিবেশমন্ত্রী থেরেসি কফিও তাদের আসন হারাতে পারেন।
জরিপ বলছে, মাত্র পাঁচজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী, তারা হলেন জেরেমি হান্ট, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, মাইকেল গোভ, নাদিম জাওয়াই এবং কেমি ব্যাডেনোচ ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকবেন।
জরিপের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, গুরুত্বপূর্ণ ১০টি বেলওয়েদার আসনের ১০ আসনই পাচ্ছে লেবাররা।
সংবাদমাধ্যম বেস্ট ফর ব্রিটেনের প্রধান নির্বাহী নাওমি স্মিথ বলেন, সুনাকের মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হবে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকতাবাদী মূল্যবোধের পক্ষে ও ইইউর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য সুনাকের পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
স্মিথ বলেছেন, অনিশ্চিত ভোটারদের উচ্চ হার এখনও টোরিদের নির্বাচনকে একটি পরিবর্তন আনার সুযোগ দেয়। সুনাকের পার্টির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের ভোটাভুটি হলেও, বেস্ট ফর ব্রিটেনের বিশ্লেষণে প্রকাশ করা হয়েছে, টোরিদের ওপর লেবারদের বিশাল নেতৃত্ব আগের চেয়ে আরও ভঙ্গুর হতে পারে।
৪২ বছর বয়সী সুনাক ২০২৩ সালের শুরুতে টোরিদের ভাগ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সংগ্রাম করছেন। সম্প্রতি করা জরিপ ভোট লেবারকে প্রায় ২০ পয়েন্টের লিড দিয়েছে। পোলিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুনাক লিজ ট্রাসের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সামান্য ব্যবধান কমেছে।
কিন্তু সর্বশেষ এমআরপি জরিপ ফলাফল, গত মে মাসে স্থানীয় নির্বাচনে তার প্রথম বাস্তব নির্বাচনী পরীক্ষার আগে সুনাকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। টোরি দলের মধ্যে কেউ কেউ ধারণা করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ফিরে আসার জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে।
জনসনের মিত্রদের নিয়ে গঠিত একটি তৃণমূল টোরি গ্রুপ প্রার্থী বাছাইয়ে সদস্যদের সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার জন্য একটি ‘মোমেন্টাম-স্টাইল’ প্রচারণা শুরু করতে প্রস্তুত। জনসনের অনেক সমর্থক গত বছরের জুলাইয়ে সুনাকের পদত্যাগকে তার সরকারের পতনের জন্য দায়ী করছেন।
যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত ২৫ অক্টোবর দায়িত্বগ্রহণ করেন কনজারভেটিভ নেতা ঋষি সুনাক।
এর আগে দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে উষ্ণ শরতের পর ঠান্ডা আবহাওয়া ব্রিটেন সরকারের পতন ঘটাতে পারে। তা ছাড়া, কম জ্বালানি বিল ও জনসাধারণের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্ষেত্রে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।