২০১৯: এক নজরে আন্তর্জাতিক ফুটবল
নতুন সব গল্পের হাতছানিতে শুরু হয়েছিল নতুন বছর। পেছনের হতাশা মুছে কারোর জন্য ছিল নতুন শুরুর চ্যালেঞ্জ, কারো দীর্ঘদিনের সাফল্যের খরা কাটানোর স্বপ্ন। কারো হিসেব মিলেছে, কেউ দিয়েছে কঠিন সময় পেছনে ফেলে নতুন যুগের ঘোষণা। আরেকটি নতুন বছর কড়া নাড়ছে দুয়ারে। পেছন ফিরে তাকালে স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সেসব গল্প
বাংলাদেশের প্রাপ্তি শুধু ভারতের বিপক্ষে ড্র
উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই বছরে বাংলাদেশের ফুটবলের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী।তিনটি প্রীতি ম্যাচে জাতীয় ফুটবল দল জিতেছে। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি, ভুটানের বিপক্ষে দুটি।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ছিল ভিন্ন চিত্র। ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে লাওসের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ ব্যবধানের জয়ে যদিও দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার টিকেট মিলেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে আফগানিস্তান, কাতার ও ওমানের কাছে হেরেছে দল।
অক্টোবরে কলকাতায় সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ভারতের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েও শেষ দিকে গোল হজম করে ম্যাচ শেষ হয়েছিল ড্রয়ের হতাশায়। তারপরও বছরের সেরা প্রাপ্তি হয়তো ভারতে গিয়ে দর্শকে ভরা গ্যালারির সামনে ড্র করাই।
সাদামাটা পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। ৯১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৮৭তম স্থানে থেকে বছর শেষ করেছে জেমি ডের দল।বয়সভিত্তিক পর্যায়েও একই অবস্থা। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের আদলে খেলা জাতীয় দল এসএ গেমসের সোনার পদক ফিরে পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নেপালে গিয়ে পায় ব্রোঞ্জ। কাঠমাণ্ডু-পোখারার আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়, মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্রয়ের তৃপ্তি উড়ে গেছে নেপাল ও ভুটানের কাছে হেরে। তবে ঢাকাতে উয়েফা অ্যাসিস্ট অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ। এর বাইরে সাফ ও এএফসির বয়সভিত্তিক (অনূর্ধ্ব-১৬, ১৯ ও ২৩) ফুটবলে সঙ্গী হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার হতাশা।
জাতীয় দলের মেয়েরা গত মার্চে সাফ ফুটবলের সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। দ্বিতীয়বারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলে মেয়েরা। সেখানে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া মেয়েদের সেরা উপহার ছিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ড্র করা।
ইতালির পুনরুত্থান
দুই বছর আগে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম বিব্রতকর এক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল ইতালি; ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়ার শুরুটা হয় অবশ্য বেশ আগে। ২০০৬ সালে জার্মানিতে চতুর্থবারের মতো বিশ্ব সেরার মুকুট পরার পরের দুই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে তারা। ইউরো ২০১৬-তে আশার ঝলক দেখা গিয়েছিল, তবে কোয়ার্টার-ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে টাইব্রেকার হেরে থমকে যেতে হয়।
ব্যর্থতার ঘেরাটোপে বন্দী ইতালির ফুটবলে সবচেয়ে বড় হতাশা নেমে আসে ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। মূল বাছাইপর্বে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ সুযোগ প্লে-অফে সুইডেনের বিপক্ষে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ‘আজ্জুরি’রা।
মূলত এরপর থেকে শুরু হয় ইতালিয়ান ফুটবলের পালাবদলের গল্প। বিশ্বকাপে জায়গা পেতে ব্যর্থ হওয়ায় চাকরি হারান জামপিয়েরো ভেনতুরা। তার জায়গায় দায়িত্ব পাওয়া কোচ রবের্তো মানচিনির কোচিংয়ে হতাশার চাদর ঝেড়ে ফেলে নতুনের পথে যাত্রা শুরু করে দলটি।তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের দাপুটে ফুটবলে জানান দেয় নতুন এক যুগের। ইউরো বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচের সবকটিতে জিতে জায়গা করে নেয় মূল পর্বে।
জয়-পরাজয়ের বাইরেও চোখে পড়েছে তাদের নজরকাড়া ফুটবল। প্রতিপক্ষের জালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭টি গোল করে ইতালি। বিপরীতে হজম করে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাত্র ৪ গোল। ২০১৯ এ পাওয়া আত্মবিশ্বাসে ভর করে নতুন বছরে দলটির সামনে সাফল্যকে পূর্ণতা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
জার্মানি-নেদারল্যান্ডসের ‘নব যাত্রা’
রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর প্রথমবারের মতো আয়োজিত উয়েফা নেশন্স লিগেও অবনমন হয় জার্মানির। নেশন্স লিগে চার ম্যাচ খেলে জয়শূন্য। ২০১৮ সালে মোট ছয় ম্যাচে হেরেছিল জার্মানরা।নিজেদের ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে এত ম্যাচ আগে কখনোই হারেনি তারা।
সেই ব্যর্থতোকে মাটিচাপা দেওয়ার বছর হতে পারত এটি। চ্যালেঞ্জ জয়ে তারা পুরোপুরি সফল, সেটি বলার জো নেই। তবে শুরুটা হয়েছে আশা জাগানিয়া।
ইউরো বাছাইপর্বে আট ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছে তারা। গ্রুপ সেরা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিযোগিতার মূল পর্বে।নেদারল্যান্ডসের গল্পটাও কিছুটা একইরকম। ২০১৬ ইউরোর পর ২০১৮ বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। তাই চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও বড়। পরীক্ষিত তারকাদের হারিয়ে নতুনদের নিয়ে নিজেদের ফুটবলকে পুরানো জায়গায় তুলে নেওয়ার পরীক্ষা।
সে লক্ষ্যে যে প্রথম ধাপটা বেশ ভালোভাবে পেরিয়েছে তারা, তা বলাই যায়। নেশন্স লিগের অভিষেক আসরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ফাইনালসের সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে জায়গা করে নেয় শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে। পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হেরে শেষটা সুখকর না হলেও ডাচদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ইউরো বাছাইপর্বে আট ম্যাচে ছয় জয় ও এক ড্রয়ে জার্মানির পেছনে থেকে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে মূল পর্বে পা রাখে ডাচরা।
জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানের মাঝে ডাচ ফুটবলে সবচেয়ে আশার আলো হয়ে এসেছে দলটির কিছু নতুন মুখ। অসাধারণ ফুটবলে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছে ফ্রেংকি ডি ইয়, মাটাইস ডি লিখটের মতো সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়রা। তাদের পায়ে ভর করে নতুন এক অধ্যায়ের হয়তো জন্ম দিতে চলেছে নেদারল্যান্ডস ফুটবল।
ভালো-মন্দে ব্রাজিল
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে বছরটা ভালো-খারাপের মিশেলে গড়া। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের সেই ভরাডুবির চার বছর পর রাশিয়াতে গিয়েছিল অনেক আশা নিয়ে। তারকায় ঠাসা দল ছিল ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে। কিন্তু কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হেরে থামতে হয় নেইমার-রবের্তো ফিরমিনোদের।
মাঝে পরপর দুবছরের দুই কোপা আমেরিকাতেও ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ছিল ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি হয়ে। ২০১৫ আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে ছিটকে যাওয়ার পরের বছর বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই।
সব হতাশার ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ আসে এ বছর। সেটি দারুণভাবে কাজে লাগায় রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুকে হারিয়ে নবমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে তিতের দল।এক যুগ পর লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্টত্ব অর্জনের পরপরই যেন পথ হারিয়ে ফেলে দলটি। একের পর এক হার আর ড্রয়ে ছিটকে পড়ে কক্ষপথ থেকে। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়শূন্য থাকার পর গত ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তারা আভাস দেয় ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলার।
ব্যর্থতার ঘেরাটোপেই আর্জেন্টিনা, তবে…
প্রতিটি বছর,প্রতিটি টুর্নামেন্ট আর্জেন্টিনার জন্য আসে শিরোপা খরা কাটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে। ব্যতিক্রম ছিল না এ বছরও। কিন্তু গল্পের শেষটা রয়ে গেছে একই।
রাশিয়া বিশ্বকাপে বাজে ফুটবল খেলে কোনোমতে নকআউট পর্বে পা রেখেছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যায় ফ্রান্সের কাছে।
বছরের শুরুতেও তাদের পারফরম্যান্সে আহামরি কিছু ছিল না। তারপরও লিওনেল মেসির মতো সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার দলে থাকায় শিরোপা স্বপ্নে শুরু করেছিল কোপা আমেরিকা মিশন। কিন্তু সেমি-ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরে হয় স্বপ্নভঙ্গ।
উল্টো অধিনায়ক মেসি জন্ম দেন বিতর্কের। ব্রাজিলের বিপক্ষে হারের পর আয়োজকদের বিরুদ্ধে ‘পাতানো টুর্নামেন্ট’-এর অভিযোগ তোলেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড। পরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে জিতলেও লাল কার্ড দেখেন তিনি। ওই ম্যাচের পর অভিযোগ করেন আবারও। কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেন, ব্রাজিলকে শিরোপা জেতাতেই করা হয়েছে সবকিছু। এর জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞাও পান রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
তবে এসব ব্যর্থতা আর বিতর্ক পেছনে ফেলে বছরের শেষ ধাপে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হারের পর টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থেকে বছর শেষ করেছে তারা। এর মধ্যে চারটি জয় ও তিনটি ড্র।
জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানের চেয়ে উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টাইনদের পারফরম্যান্স। অক্টোবরে জার্মানির বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সমতায় শেষ করেছিল দলটি। পরের ম্যাচে একুয়েডরকে উড়িয়ে দেয় ৬-১ গোলে। নভেম্বরে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলে ব্রাজিলকে হারানোর তিন দিন পর আরেকবার ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ নজির গড়ে লিওনেল স্কালোনির দল। উরুগুয়ের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করে আর্জেন্টিনা।
মাঝে বেশ কিছুদিন নিজেদের খুঁজে ফেরা আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির অধীনে যেন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মেসির অনুপস্থিতিতে আলো ছড়ান ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস ও পিএসজির মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেসের মতো ফুটবলাররা।
নতুন বছরে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই দলটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
পর্তুগালের দ্বিতীয় শিরোপা
ইউরো ২০১৬ জয়ের তিন বছর পর এবার আরেকটি শিরোপা জয়ের উল্লাসে ভাসে দেশটি। উয়েফা নেশন্স লিগের অভিষেক আসরের গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ফাইনালসে ওঠা পর্তুগাল বাজিমাত করে দারুণ দুই জয়ে।
সেমি-ফাইনালে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে সুইজারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ওঠে শেষ ধাপে। সেখানে নেদারল্যান্ডসকে একমাত্র গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় শিরোপা জয় করে ফের্নান্দো সান্তোসের দল।
কাতারের এশিয়া জয়
ফুটবল বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিকের মর্যাদা অর্জন নিশ্চিতভাবে ছিল কাতারের ফুটবল ইতিহাসে অনেক বড় অর্জন। তবে এটি ছিল কাগজ-কলমে, ভোটের লড়াইয়ে। মাঠের ফুটবলেও যে কাতার কোনো অংশে কম নয়, সেটি প্রমাণের দায় ছিল। অবিশ্বাস্যভাবে স্বপ্ন পূরণের গল্প রচনা করে তারা বছরের শুরুতে।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হওয়া এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে প্রথমবারের মতো অর্জন করে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এর আগে প্রতিযোগিতাটির শেষ আটে ওঠাই ছিল কাতারের সেরা সাফল্য। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে নকআউট পর্বে ওঠা দলটি ফাইনালে ওঠার পথে হারায় ইরাক, দক্ষিণ কোরিয়া ও স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। শিরোপার লড়াইয়ে হারিয়ে দেয় রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়ন জাপানকে।৯ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন সুদানে জন্ম নেওয়া আলমোজ আলি। তিন বছর বাদে ঘরের মাঠে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের মঞ্চে ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরেই হয়তো নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে কাতারের ফুটবলপাগল মানুষ।
র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষেই বেলজিয়াম
মাঠে বেলজিয়ামের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রতিফলন পড়েছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে। ১৭৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছে তারা। ৩২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে ফ্রান্স। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলের পয়েন্ট ১৭১২।
সেরা দশ
অবস্থান | দেশ | পয়েন্ট |
১ | বেলজিয়াম | ১৭৬৫ |
২ | ফ্রান্স | ১৭৩৩ |
৩ | ব্রাজিল | ১৭১২ |
৪ | ইংল্যান্ড | ১৬৬১ |
৫ | উরুগুয়ে | ১৬৪৫ |
৬ | ক্রোয়েশিয়া | ১৬৪২ |
৭ | পর্তুগাল | ১৬৩৯ |
৮ | স্পেন | ১৬৩৬ |
৯ | আর্জেন্টিনা | ১৬২৩ |
১০ | কলম্বিয়া | ১৬২২ |
মেসির রেকর্ড ব্যালন ডি’অর জয়
জাতীয় দলের হয়ে স্বরূপে নিজেকে মেলে ধরতে না পারার ব্যর্থতা তো ছিলই, সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব। তারপরও ক্লাব ফুটবলে লিওনেল মেসির পারফরম্যান্স এতটাই দাপুটে আর রোমাঞ্চকর ছিল যে, বর্ষসেরা ফুটবলারের দুটি পুরস্কার জিতে নেন আর্জেন্টাইন তারকা।
এবারের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচন নিয়ে কিছুটা বিতর্কও অবশ্য ডালপালা মেলেছিল।
গত অগাস্টে মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে হারিয়ে উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে অসামান্য অবদান রাখা ভার্জিল ফন ডাইক। পরের মাসে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারও এই ডাচ ডিফেন্ডার জিতবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে তাকে ও পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কারটি জিতে নেন বার্সেলোনা তারকা।পরে মেসির ফিফার পুরস্কারটি নিয়ে কিছু গুজবও ছড়ায়। সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের অধিনায়ক ও কোচ নাকি অভিযোগ করেন তাদের ভোট পাল্টে দেওয়া হয়েছে।
তবে ডিসেম্বরের শুরুতে মেসির ব্যালন ডি’অর জয়ের মধ্যে দিয়ে সেসব বিতর্কের অনেকটাই ইতি ঘটে। ফন ডাইক ও রোনালদোকে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ‘ফ্রান্স ম্যাগাজিন’-এর দেওয়া পুরস্কারটি জিতেন মেসি।