November 25, 2024
আন্তর্জাতিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

১৮ মাসের মধ্যেই ইতি ঘটতে যাচ্ছে দ্রাঘি সরকারের

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বহু-মতাদর্শিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট গঠন করে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মারিও দ্রাঘি। ভিন্ন মতের ভিন্ন পথকে আর এক করতে পারলেন তিনি, ১৮ মাসের মধ্যেই ইতি ঘটতে যাচ্ছে দ্রাঘি সরকারের।

বুধবার (২০ জুলাই) ইতালির সংসদের উচ্চ কক্ষে এক আস্থা ভোটের পর নিশ্চিত হয়েছে দ্রাঘি সরকারের বিদায়। খবর রয়টার্স।

রয়টার্সের খবরে জানা যায়, উচ্চ কক্ষ সিনেটের ভোটে ৯৫ থেকে ৩৮ ব্যবধানে জয় লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। তবে ক্ষমতাসীন জোটের তিন দল আস্থা ভোটে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

ফলে জোটে বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে সরকারকে স্থিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দ্রাঘির শেষ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সংসদের নিম্ন কক্ষকে আবারও পদত্যাগের ঘোষণা দিবেন।

পদত্যাগের ঘোষণার পর রাষ্ট্রপতি সার্জিও ম্যাতারেল্লার কাছে তার পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন দ্রাঘি। ফলে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরেই একটি আগাম নির্বাচন ডাকতে হবে দেশটির প্রশাসনকে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই সামাজিক বৈষম্য এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা থেকে ক্ষমতাসীন জোটে সৃষ্ট আস্থার ঘাটতির খবর জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী দ্রাঘি। তবে পদত্যাগ প্রত্যাখ্যান করে সংসদে দৃঢ় সমর্থন অর্জনের প্রচেষ্টায় একটি ভাষণ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেল্লা।

যার ধারাবাহিকতায় বুধবার ঐক্য পূর্ণগঠনের আবেদন জানিয়ে সিনেটে বক্তৃতা করেন মারিও দ্রাঘি। তবে এ দিন দ্রাঘির জোটের লোকরঞ্জনবাদী শরিক দল ফাইভ স্টার মুভমেন্ট আবারও আস্থা ভোটে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

ভোট এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জোটের অন্য শরিক দল ডানপন্থী ফোরজা ইতালিয়া এবং লীগ ইতালিয়া। তারা আগে জানিয়েছিল ফাইভ স্টার মুভমেন্টের সঙ্গে তারা আর জোট থাকতে রাজি নয়।

ইউরো অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ইতালির জন্য রাজনৈতিক সংকটটি এমন সময় আবির্ভূত হয়েছে যখনে দেশটি ঋণে ভারাক্রান্ত। একই সময় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার আর্থিক নীতিগুলোকে আরও কঠোর করে তুলেছে, ঋণ গ্রহণের ব্যয় তীব্রভাবে বেড়েছে।

এমতাবস্থায় দ্রাঘির পদত্যাগকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউরোপীয় অর্থনীতি কমিশনার পাওলো জেন্টিলোনি। টুইটে তিনি বলেন, ইতালির জন্য আগামী মাসগুলো কঠিন হয়ে ওঠবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *