November 24, 2024
করোনাজাতীয়

১৫ দিনের মধ্যে চালু হবে বসুন্ধরার হাসপাতাল

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় নির্মাণাধীন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) অস্থায়ী হাসপাতাল ১৫ দিনের মধ্যেই চালু করা যাবে। বিদেশ থেকে আইসিইউর কিছু সরঞ্জাম আমদানি করায় চালু করতে একটু সময় লাগছে। ৫০০০ বেড তৈরির পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখানে ৭১টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) ও ২০০০ বেডের হাসপাতাল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাসপাতালের জন্য ডাক্তার, নার্স, সার্পোটিং স্টাফ, ওষুধ ও অন্য জিনিসপত্র সরকার থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

রোববার (১২ এপ্রিল) আইসিসিবির ট্রেড সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা সিটি বিভাগ) মো. মাসুদুল আলম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসিম উদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা।

মাসুদুল আলম বলেন, আইসিসিবির ট্রেড সেন্টারটি বিভিন্ন ক্লাস্টারে ভাগ করে এক হাজার ৫শ’ বেডের হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। ১৫ দিনের মধ্যে হাসপাতালটি চালুর লক্ষ্য নিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে সবধরনের সরঞ্জাম এখানে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৭১টি আইসিইউ করার কিছু সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্ল্যান্ট আসবে তুরস্ক থেকে এবং অক্সিজেন প্ল্যান্ট আসবে যুক্তরাজ্য থেকে। এসব জিনিসপত্র আমদানি এ সময়ের জন্য খুব দুঃসাধ্য। এ কারণে একটু দেরি হচ্ছে। আশা করছি, ১৫ দিনের মধ্যে কনভেনশন সিটিতে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল তৈরি করার চেষ্টা করছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুদুল আলম বলেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে হাসপাতালের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। অবকাঠামো, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছে আইসিসিবি। হাসপাতালের জন্য ডাক্তার, নার্স, সার্পোটিং স্টাফ, ওষুধ ও অন্য জিনিসপত্র সরকার থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখানে যত ভেন্টিলেটর প্রয়োজন তার মজুদ আছে আমাদের কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে (সিএমএসডি)। সেখান থেকে সরবরাহ করবে।

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, জসিম ট্রেড সেন্টারকে ছয়টি ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লকে ২৪৮টি বেড বসানো হবে। কনভেনশন হলগুলোতেও বেড স্থাপন করা হবে। আমাদের যে কাজ করা আছে, তা করতেই দুই-তিন মাস সময় লাগে। তাতে বলা যায় ৫০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাউথ এশিয়ার মধ্যে এত বড় একটি হাসপাতাল তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে সাহসিকতা দেখিয়েছে আসলেই উল্লেখ করার মতো। মাস্টার প্ল্যানে ২০৭১টি বেড আছে। কিছু কম-বেশি হতে পারে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫০০০ শয্যার হাসপাতাল বানানোর প্রস্তাব দেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। পরে স্থান সংকুলানের বিষয়ে হিসেব-নিকেশের পর সেখানে দুই হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপন সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *