১৪ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ছয়টি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাবসহ মোট পাঁচটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের ছয়টি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি-ডিসেম্বরে নেগোশিয়েশনের পরিমাণ এবং জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকের প্রিমিয়াম ও মূল্যের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মোট ১৪ লাখ ২০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানি হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কুয়েত ও ফিলিপাইন থেকে এ তেল আমদানি করা হবে। এর মধ্যে গ্যাস অয়েল ১১ লাখ ৯০ হাজার টন, জেড এ-১ এক লাখ টন, মোটর গ্যাস ৩০ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল এক লাখ টন থাকবে।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক শীর্ষক প্রকল্পের কাজের পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। পরামর্শক হবে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্ট ঢাকা (ডিডিসি)। আগামী ২০২২ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। সে সময় পর্যটন নগরী ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত দেখতে কক্সবাজারে ট্রেনে যেতে পারবেন ভ্রমণপিপাসুরা।
১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি ছাড়াও বৈঠকে যেসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে তা হলো- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রি পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন কুমিলা ও ময়মনসিংহ জোন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৭৫টি প্রি পেমেন্ট মিটার এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেবাসহ যন্ত্রাংশ ক্রয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এছাড়া, এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ শীর্ষক প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম জেলার অনোয়ারায় গ্যাস/আরএলএনজি ভিত্তিক ৫৯০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।